ঢাকা: বইমেলার ১৫তম দিনে নতুন বই এসেছে ৯৭টি। এর মধ্যে ১১টি গল্পগ্রন্থ, আটটি উপন্যাস, ২৪টি কাব্যগ্রন্থ, ভ্রমণ সংক্রান্ত পাঁচটি, বঙ্গবন্ধু ও সায়েন্স ফিকশন সংক্রান্ত দু;টি করে বই নতুন প্রকাশিত হয়েছে।
বৃ্হস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এদিন বিকেল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ: আবদুল হালিম বয়াতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে জোবায়ের আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের লোকসংগীতাঙ্গনে যেসকল সাধক-ব্যক্তিত্ব নতুন ধারা প্রবর্তনে প্রবর্তকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন মরমি সংগীতসাধক আবদুল হালিম বয়াতি তাদের অগ্রগণ্য। সংগীতসৃষ্টি, সুরারোপ এবং পরিবেশনার মাধ্যমে তিনি এদেশের শহর ও গ্রামাঞ্চলে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় তার বিচরণ অতি সামান্য হলেও সঙ্গীতসাধনায় তিনি ছিলেন নিরুলস ও উদ্যোগী। প্রকৃতিপ্রদত্ত প্রতিভা এবং বৈচিত্র্যময় গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানালোকে তিনি নিজেকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন, তেমনি অর্জিত অভিজ্ঞতা ও অভিজ্ঞানকে গীত-গানের মাধ্যমে শৈল্পিক সাবলীলতায় উপস্থাপন করে অর্জন করেছেন জননন্দিত শিল্পীর স্বীকৃতি।’
সভাপতির বক্তব্যে সাইদুর রহমান বয়াতি বলেন, ‘আবদুল হালিম বয়াতির মতো প্রতিভাবান সাধক কবি এ দেশে বিরল। বাংলার লোকসংগীতের ইতিহাসে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তার সৃষ্টি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে আবদুল হালিম ভক্তশ্রোতাদের অন্তরে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।’
এ ছাড়া, বইমেলার পনেরোতম দিনে ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক মাসুদুল হক, কবি ও সম্পাদক এজাজ ইউসুফী এবং গবেষক কাজী সামিও শীশ এবং শিশুসাহিত্যিক রুনা তাসমিনা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু, মিহির মুসাকী, শফিক সেলিম, খোকন মাহমুদ এবং ইমরুল ইউসুফ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী এ বি এম রাশেদুল হাসান, শিরিন জাহান এবং তালুকদার মো. যোবায়ের আহম্মেদ টিপু। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন সুবর্ণা আফরিনের পরিচালনায় ‘কিংবদন্তি আবৃত্তি পরিষদ’ এবং মো. রহমতুল্লাহর পরিচালনায় ‘কথাশৈলী আবৃত্তি চক্র’। পুঁথিপাঠ করেন এথেন্স শাওন।
এছাড়াও ছিল প্রণয় সাহার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর’র পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী বাবু সরকার, কোহিনুর আক্তার গোলাপী, মেহেরুন আশরাফ, অঞ্জলি চৌধুরী, গঞ্জের আলী জীবন, সুমন চন্দ্র দাস এবং বিজন কান্তি রায়। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন চন্দন দত্ত (তবলা), সুমন রেজা খান (কি-বোর্ড), মো. মনিরুজ্জামান (বাঁশি), সুমন কুমার শীল (দোতরা) এবং মো, স্বপন মিয়া (বাংলা ঢোল)।