Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এসপি-এএসপিকে অপসারণের দাবিতে জনপ্রতিনিধিদের কর্মবিরতি ঘোষণা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৫১

যশোর: যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) বেলাল হুসাইনের অপসারণের দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা। একই দাবিতে শুক্রবার মানববন্ধন, শনিবার বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার দড়াটানায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বলেছেন, এরপরও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে অপসারণ করা না হলে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যশোর পৌরসভা হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা এই ঘোষণা দেন। প্রেসক্লাব যশোরে হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশি বাধার মুখে পরে পৌরসভার হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যশোর পৌরসভার ১ নম্বর প্যানেল মেয়র শেখ মোকছিমুল বারী অপু।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূলে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করি। কিন্তু যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন আমাদের জনপ্রতিনিধিদের নানাভাবে হয়রানির মাধ্যমে সম্মানহানি করছেন। গত কয়েকদিনে যশোর পৌরসভার চারজন কাউন্সিলরসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধির কার্যালয় ভাঙচুর করেছে পুলিশ। গত রাতে (বুধবার রাতে) সুনির্দিষ্ট মামলা না থাকলেও কাউন্সিলর মিলনকে আটক করে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।

জনপ্রতিনিধিরা বলেন, বেশ আগে থেকেই যশোরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। চুরি, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি বেড়েছে। খুন ঘটছে অহরহ। আমরা বরাবর ঘটনায় জড়িতদের আটকের পক্ষে। এসব ঘটনার অধিকাংশের সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। কিন্তু সেই ফুটেজ অনুযায়ী আসামিদের আটক না করে অন্যদের হয়রানি করা হচ্ছে। কয়েকটি ঘটনার উল্লেখও করেন জনপ্রতিনিধিরা।

বিজ্ঞাপন

এসপি ও এএসপির অপসারণের দাবি জানিয়ে তারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা যশোরে থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সুযোগ নেই। তারা রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এ জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যশোরের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অপসারণ দাবি করছি। এই দাবিতে আজ থেকে আমরা জনপ্রতিনিধিরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেছি। তাদের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, হৈতবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, চুড়ামকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন দফাদার, লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন, উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটু, হৈবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সোহরাব হোসেন, রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফ, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, যশোর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহিদুর রহমান রিপন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজিবুল আলম, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহেদ হোসেন নয়ন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবুল।

এ ছাড়া জনপ্রতিনিধিদের কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আফজাল হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য জবেদ আলীসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/টিআর

যশোর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর