ইউনাইটেড ফোরামের ‘ব্যবসা বান্ধব’ অঙ্গীকার
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৫
ঢাকা : বাংলাদেশ বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)‘র দেশের ১ নম্বর স্টেকহোল্ডার এর মর্যাদায় উন্নীত করতে চান ইউনাইটেড ফোরামের প্যানেল লিডার ও বিজিবিএ নির্বাচন ২০২৪-২৬ এর প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মোহাম্মদ মফিজ উল্লাহ্ বাবলু। তিনি বলেন, সংগঠনের ওয়েব সাইট আধুনিকায়ন, শক্ত ও পেশাদার পরিচালনা পর্ষদ, নিয়মিত এজিএম ও দেশের গুরুত্বপুর্ন কয়েকটি শহরে বিজিবিএ এর কার্যক্রম চালু করা হবে। পাশাপাশি ভ্যাট, ট্যাক্স ও পার্সেল বহন সুবিধাকে আরও ব্যবসা বান্ধব করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শুক্রবার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) রাজধানীস্থ ইকোনোমিক রিপটারস ফোরাম এর মিলনায়তনে বাংলাদেশ বায়িং হাউজ এ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) আসন্ন ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড ফোরামের প্যানেল লিডার ও বিজিবিএ নির্বাচন ২০২৪-২৬ এর প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মোহাম্মদ মফিজ উল্লাহ্ বাবলু ইশতেহার ঘোষণাকালে এসব কথা বলেন। ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড ফোরামের আহ্বায়ক মো. আনিসুর রহমান।
ইউনাইটেড ফোরামের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মোহাম্মদ মফিজ উল্লাহ্ বাবলু বলেন, ‘আমি ও আমার ফোরাম নির্বাচিত হলে বিজিবিএ এর নিজস্ব ভবন, গবেষণা কেন্দ্র, ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট, কেন্দ্রীয় স্যাম্পল ইউনিট গড়ে তোলাসহ পাঠ্যপুস্তকে তৈরি পোশাক শিল্পের বিষয় অন্তর্ভুক্তকরন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পোশাক শিল্পের বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী চালুর জন্য সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে আলোচনা করা হবে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান মনে করেন অবাদ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে অবশ্যই ইউনাইটেড ফোরাম থেকে প্রেসিডেন্ট পদে মোহাম্মদ মফিজ উল্লাহ্ বাবলু নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন এর আসন্ন ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ইউনাইটেড ফোরামের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মোহাম্মদ মফিজ উল্লাহ্ বাবলু ১৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন।
১৬ দফা ইশতেহারে মধ্যে রয়েছে, নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সঙ্গে পেশাদার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে বিজিবিএ এর কর্মকান্ডে গতিশীলতা করা, বিজিবিএ এর নিজস্ব জমিসহ অফিস ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। সদস্যদের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারিবারিক বন্ধন অটুট করা এবং অবসর সময়ে পরিবারসহ সুন্দর সময় কাটানোর জন্য বিজিবিএ-এর নিজস্ব বিনোদনকেন্দ্র গড়তে ফোরাম কাজ করবে। এছাড়াও বার্ষিক সাধারন সভা নিয়মিতকরণ করে আমাদের সংগঠনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দ্বার উন্মোচন করা। বিজিবিএ-এর ব্রান্ডিং বৃদ্ধি করা, ভ্যাট-ট্যাক্স এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী নিয়ে আমাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অবস্থান তৈরি করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, সরকারের পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ক্যাম্পেইন করে অপ্রচলিত মার্কেট তৈরির মাধ্যমে বায়িং হাউস ব্যবসাকে সম্প্রসারণ করতে সর্বাত্মক প্রচেস্টা করা। ক্রেতাদের সাথে উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রাইজিং ও পেমেন্ট পলিসি তৈরি করা। কাপড়ের মতো এক্সেসরিস বা ট্রিমস এর ক্ষেত্রেও নিজস্ব উৎসকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা। বিজিবিএ এর নিজস্ব তত্তাবধানে কেন্দ্রীয় স্যাম্পল ইউনিট ও গবেষনা কেন্দ্র গড়ে তোলা এবং বিজিবিএ এর তত্ত্বাবধানে সরকারী অনুমোদন সাপেক্ষে তৈরি পোশাক শিল্পের উপর ডিপ্লোমা ইনস্টিউট গড়া হবে।
সারাবাংলা/জিএস/একে