Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫°সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৫২

ঢাকা: মানুষের অস্তিত্ব সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হার ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যদি ২০২৫ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শীর্ষে পৌঁছায়, ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক হয়ে যায় এবং ২০৫০ সালের মধ্যে আমরা ‘নেট জিরো’ অর্জন করতে পারি, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এখনও এড়ানো যাবে এবং আমরা তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করতে পারব। তবে এর জন্য দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন।’

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে ‘দ্য আনঅ্যাভয়েডবল মাস্টার রিস্ক? অ্যাড্রেসিং ক্লাইমেট ওভারশ্যুট’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে। এরইমধ্যে যে বিপর্যয়কর বাস্তবতা চলছে তা আরও খারাপ করে তুলবে। আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ সংরক্ষণ সম্মেলন (আইপিসিসি) স্পষ্টভাবে বলেছে যে, অনেক ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে না। জলবায়ু পরিবর্তন বিদ্যমান সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে যা জাতীয় শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করছে ‘

এ সময় তিনি বাংলাদেশের জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে খরা বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করেন।

সাবের চৌধুরী আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এরইমধ্যে ঘন ঘন এবং চরম আবহাওয়াগত ঘটনা ঘটছে। যা মানুষজনকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ হওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৩৩ লাখ বাংলাদেশি (জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের পুরো জনসংখ্যার সমান) জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উচ্ছেদ হবে যা দেশের অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের কারণ।’

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে সাহায্য করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দিতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের কার্বন-ডাই-অক্সাইড অপসারণ এবং সৌর বিকিরণ পরিবর্তনের মতো অ-পরীক্ষিত প্রযুক্তির দিকে যেতে তাড়াহুড়ো করা উচিত হবে না। এর পরিবর্তে আমাদের প্রশমন, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান, বনায়ন ইত্যাদি কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

প্যানেল আলোচনায় কোস্টারিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং জলবায়ু ওভারশুট কমিশনের কমিশনার, কার্লোস আলভারাডো কুয়েসাদা, পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খা এবং ইউরোপীয় সবুজ চুক্তির জন্য ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট মারোস শেফকোভিচ উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরএফ/একে

আইপিসিসি জলবায়ু পরিবর্তন টপ নিউজ পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর