রমজানে পেঁয়াজ-চিনির চাহিদার পুরোটাই আমদানি নির্ভর
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৫
ঢাকা: রোজায় চাহিদা মেটাতে এক লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির কথা ভাবছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই চাহিদা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। তবে ভারত প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টন চিনি ও ২০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির আশ্বাস দিয়েছেন। চাহিদার বাকি পেঁয়াজ ও চিনির বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয় নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সোমবার কিংবা বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভালো খবর পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, ‘কীভাবে, কত তারিখ থেকে আমদানি করব, সেটি অনুমোদন পেলেই আমরা বাকি তথ্য জানাতে পারব।’
‘এ ক্ষেত্রে তাদের (ভারত) মিনিস্টিরিয়াল বৈঠক ১৪ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জার্মানিতে আছেন। তিনি বিদেশ থাকায় বৈঠকটি হতে একটি দেরি হচ্ছে। আশা করছি, সোম থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোনো এক সময় তাদের এই বৈঠক হবে। এখনও বিশ্বাস করি, ভালো ফল হবে’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রমজানের আগেই পেঁয়াজ ও চিনি বাজারে সরবরাহ করতে পারব। ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও এক লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা দিয়েছি। আমরা ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনির প্রতিশ্রুতি আমরা পেয়েছি। কিন্তু আমরা প্রত্যাশা করছি, আমাদের চাহিদার পুরোটাই আমরা রোজার আগে নিয়ে আসতে পারব।’
ভারতের বাইরে বিকল্প উৎস থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আর একই উৎস না, বিকল্প উৎস থেকেও আমরা চেষ্টা করছি। ভারতের আশাপাশের দেশগুলো থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। নেপাল থেকে ডাল আসে, মিয়ানমারে সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো না হলেও সেখান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনার প্রক্রিয়া চলছে। সেটি দ্রুত আপনাদের জানাতে পারব।’
‘গত বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, পণ্য সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। আমদানিকারক ও মিল মালিকরা ঠিকমতো সরবরাহ করলে খাতুনগঞ্জ থেকে সম্পূর্ণ সহায়তা পাওয়া যাবে। রমজান উপলক্ষে এ পণ্য সারা দেশে সরবরাহ করা হবে।’
সারাবাংলা/জেআর/একে