Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিখোঁজের ১৭ দিন পর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি আরকান আর্মির অপহরণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪২

কক্সবাজার: মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে জেলার উখিয়া উপজেলার আজ্ঞুমানপাড়া সীমান্তের খালে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজের ১৭ দিন পর এক জেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। স্বজনদের দাবি, আরাকান আর্মির সদস্যরা তাকে অপহরণ করেছিল।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন নিখোঁজ জেলের মৃতদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল সীমান্তের নাফ নদীর তীরের বেড়িবাঁধ থেকে নিখোঁজ জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

নিহত মোস্তাফিজুর রহমান (৪৭) উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আজ্ঞুমানপাড়ার মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে। তিনি পেশায় জেলে ও দিনমজুর।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে আজ্ঞুমানপাড়া সীমান্তে নাফ নদীতে মাছ ধরতে যান স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন জেলে। এক পর্যায়ে সশস্ত্র আরাকান আর্মির সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ওইদিন ঘটনাস্থলের আশপাশের থাকা অন্য জেলেরা বিষয়টি স্বজনদের জানায়। স্বজনরা বিষয়টি বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে অবহিত করার পাশাপাশি নানাভাবে খোঁজ খবর নিয়েও তার সন্ধান পাননি।

নিহতের ছোট ভাই মো. আমির হোসেন বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে আজ্ঞুমানপাড়া সীমান্তে নাফ নদীতে অন্য জেলেদের সঙ্গে তার ভাই মোস্তাফিজুর রহমানও মাছ ধরতে যান। এক পর্যায়ে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হলেও তার ভাইয়ের সন্ধান পাননি। অপহরণকারীরা স্বজনদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগও করেনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যার আগে আগে উখিয়া উপজেলার রহমতেরবিল সীমান্তে চিংড়ি ঘেরে কাজ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম। এক পর্যায়ে তিনি নাফ নদীর বেঁড়িবাধের উপর মোস্তাফিজুর রহমানকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি স্বজনদের অবহিত করেন।’

আমির হোসেন আরও বলেন, খবরটি শোনার পর বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশকে স্বজনরা অবহিত করেন। পরে রোববার রাত সাড়ে ১১টায় বিজিবির সহায়তায় রহমতেরবিল সীমান্তের বেঁড়িবাধ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

‘এসময় নিহত মোস্তাফিজুর রহমানের শরীরে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন রয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, অপহরণকারীরা তাকে বেঁধে রাখায় অনাহারে মৃত্যুর পর লাশ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ফেলে রেখে যায়।’

ওসি শামীম হোসেন আরও বলেন, সোমবার সকালে খবরটি শোনার পর পুলিশ নিহতের বাড়ি থেকে মোস্তাফিজুর রহমানের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তার শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে তার পায়ে রশি বা শিকল জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন রয়েছে। তবে কারা, কি কারণে এ জেলেকে অপহরণ করে খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা নিশ্চিত নয়।

নিহত জেলের লাশ ময়তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সারাবাংলা/ওএফএইচ/এনএস

আরকান আর্মি কক্সবাজার টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর