সব মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৫
ঢাকা: রাজধানীর কমলাপুরে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে জনজীবন বিঘ্নের অভিযোগে ঢাকার রেলওয়ে থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এরফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১১ মামলার সবগুলোতে তিনি জামিন পেয়েছেন।
আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে ছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল।
আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর আগে তিনি ১০টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। আজ ১১তম মামলায় আদালত দুই হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। এর ফলে মির্জা আব্বাসের কারামুক্তিতে বাধা নেই।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহজাহানপুর, রমনা ও পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় মির্জা আব্বাসকে জামিন দেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।
তারও আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে থানা দায়ের করা ছয়টি মামলায় জামিন পান মির্জা আব্বাস। ওইদিন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২১ জানুয়ারি পৃথক ১০ মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন গ্রহণ করে ১৫ দিনের মধ্যে আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আইনজীবীরা জানান, গত ২৯ অক্টোবর মির্জা আব্বাসকে রাজধানীর শাজাহানপুর থানার এক মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এটি ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও ১০টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় তার জামিন আবেদন করা হয়, যা ১০ জানুয়ারি নিম্ন আদালত গ্রহণ করেননি। পরে এ অবস্থায় ১০ মামলায় জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুসারে নিষ্পত্তির নির্দেশন চেয়ে মির্জা আব্বাস একটি রিট করেন।
শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় গত ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি তখন থেকে কারাগারে রয়েছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ