ব্যাংক লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই কেন— প্রশ্ন বামজোটের
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:২৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ব্যাংক লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে সরকার থেকে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না— বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতারা এমন প্রশ্ন তুলেছেন।
তারা বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৮০ হাজার কোটি থেকে এক লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার তথ্য জানাচ্ছে। অথচ সরকার সে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করছে না। আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরের শাসনামলে অবাধ দুর্নীতি, মেগাপ্রকল্পসহ নানা সরকারি প্রকল্পে লুটপাট, রফতানি, বাণিজ্য, খেলাটি ঋণের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে অবাধে অর্থ পাচার চলছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট, চট্টগ্রাম জেলার বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। এদিন রাজধানী ঢাকাতেও বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
আরও পড়ুন- ঋণখেলাপিদের তালিকা ও অর্থপাচারের অনুসন্ধান প্রকাশের দাবি
অর্থ পাচারের কারণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট চলছে অভিযোগ করে বাম জোটের নেতারা বলেন, অর্থ পাচারের কারণে দেশে চলছে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট। আর লুটপাটের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের দায় চাপানো হচ্ছে জনগণের ঘাড়ে। ২০০৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি ১৯টি ব্যাংকে ২৪টি বড় ঋণ কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ৯২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বাম নেতারা আরও বলেন, ঋণখেলাপি ও ব্যাংক লুটপাটকারীদের স্বার্থে বার বার ব্যাংক আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। এভাবে জনগণের কষ্টার্জিত টাকা লুটেরাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না— এ প্রশ্ন আজ সবার। ফলে আজ জনগণকে লুটপাটকারীদের হাত থেকে নিজেদের অর্থ বাঁচাতে এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সমাবেশে নেতারা অবিলম্বে বিদেশে পাচার করা অর্থ ও খেলাপি ঋণ উদ্ধার করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ জনগণের খাতে ব্যয় করার দাবি জানান।
বাম গণতান্ত্রিক জোট, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জেলা সভাপতি অশোক সাহার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিল দল (বাসদ) জেলা ইনচার্জ আল কাদেরি জয় ও বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্যসচিব শফি উদ্দিন কবির আবিদ।
সারাবাংলা/আইসি/টিআর