ভাষাশহিদের সম্মান জানাল ডুফা
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৫২
ঢাকা: একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষাশহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় বন্ধু সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ডস অ্যালায়েন্স (ডুফা)।
একুশের প্রভাত ফেরিতে ডুফার প্রজন্ম বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির তত্ত্বাবধানে সংগঠনটির সদস্যরা তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মসহ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ডুফার সভাপতি সুজন মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক গাজী শেখ ফরিদ আহমেদ, অর্থ সম্পাদক কে এম মনজুর-ই-আলম বিপু, প্রজন্ম বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সমন্বয়ক আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুব কায়সার, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান লিটুসহ নির্বাহী কমিটির সদস্য, ডুফার সাধারণ সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
সমন্বয়ক আশরাফ-উল-আলম জানান, ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। বিশ্বে ৭ সহস্রাধিক ভাষা থাকলেও নিজের মাতৃভাষার জন্য কোনো জাতিকে রক্ত দিতে হয়নি। সে কারণেই বাংলাকে জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ভাষাশহিদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মাতৃভাষা এবং একুশে ফেব্রুয়ারি প্রতিটি বাঙালির কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। এই দিবসের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। পাশাপাশি আমরা শিশুদের প্রমিত বাংলা উচ্চারণ এবং ব্যবহারের জন্য আরও বিশেষ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
ডুফা প্রজন্ম ফারহান (১৩) তার অনুভূতি প্রকাশ করতে বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই এতদিন স্কুলে শহিদ মিনারের ছবি আঁকতাম। কিন্তু কখনই শহিদ মিনারে আসা হয়নি। আজকের বিশেষ দিনে বাবার সঙ্গে শহিদ মিনারে প্রভাত ফেরিতে এসে ফুল দিতে এসে অনেক ভালো লাগছে। বিশেষ করে সবাই সাদা-কালো পোশাক পরে এবং শহিদ মিনারের বেদিতে খালি পায়ে উঠে বিশেষ সম্মাননা দেখানোর বিষয়টি আমার কাছে বিশেষভাবে ভালো লেগেছে।
উল্লেখ্য, ডুফা ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের ১৯৯৫-৯৬ ব্যাচের সবগুলোর ব্যাচের একটি বন্ধু সংগঠন। এই সাজাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মে প্রায় দুই হাজার সক্রিয় সদস্য রয়েছেন। নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি সাজামিক এবং জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে সংগঠনটি।
সারাবাংলা/এনএস
