দেউলিয়া হবার পথে মোরেলগঞ্জ বিআরডিবি
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:২১
বাগেরহাট: জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) অফিস ঋণ খেলাপিদের খপ্পরে পড়ে দেউলিয়া হবার উপক্রম হয়েছে। খেলাপি সদস্য ও অফিসের কয়েকজন কর্মচারীর মামলার কারণে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বেহাত হয়ে আছে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ৬১ লাখ টাকা থাকায় প্রতিষ্ঠানটির ৪ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের তহবিল আটকে দিয়েছে ব্যাংকটি। এতে অর্থ সংকট ও সুবিধাভোগীদের আস্থাহীনতায় পড়েছে বিআরডিবি।
টাকা আদায়ের জন্য ৪০ জন ঋণ খেলাপির নামে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করলেও কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিআরডিবি’র কর্মকর্তা মো. শামছুর রহমান।
সূত্রমতে, ১৯৭২ সালে মোরেলগঞ্জে বিআরডিবি’র কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে ৮-১০টি প্রকল্পের আওতায় চলতে থাকে কার্যক্রম। ১৮৭টি সমিতির ৪ হাজার ৫৬০ জন সদস্যদের নিকট ৩ কোটি ৮৭ হাজার টাকা লোন বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ঋণ খেলাপি সদসস্যের নিকট ২ কোটি ৩৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা অনাদায়ী রয়েছে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ৬১ লাখ টাকা থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে ২০১৭ সাল থেকে বিআরডিবি’র ৪ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের তহবিল আটকে দিয়েছে ব্যাংকটি।
অপরদিকে চাকুরির বয়স ৬৫ বছর করাসহ বিভিন্ন দাবিতে অফিসের পাঁচজন কর্মচারী জজকোর্ট ও হাইকোর্টে ১১টি মামলা দায়ের করেছেন। ওই কর্মচারীরা তাদের আওতাভুক্ত সমিতিগুলোর টাকা আদায়ের তথ্য অফিসে জমা না দেওয়ায় আরও প্রায় ১ কোটি টাকা অফিস ফান্ডে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শামছুর রহমান বলেন, বিআরডিবি’কে স্বাভাবিক গতিতে ফেরাতে ইতোমধ্যে ৪০ জন ঋণ খেলাপির নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। তাদের নিকট থেকে ঋণের টাকা আদায়, অফিসে জনবল নিয়োগ ও অফিসের কর্মচারীদের দায়ের করা মামলার ফয়সালা না হলে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৬ কোটি টাকা মাঠে রেখে যেকোনো সময় বিআরডিবি’র কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান বলেন, কয়েকজন কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় বিআরডিবি’র সার্টিফিকেট মামলার কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত রয়েছে। শিগগিরই মামলার কার্যক্রম শুরু করে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে।
সারাবাংলা/জেএইচপি/এনএস
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) বিআরডিবি মোরেলগঞ্জ বিআরডিবি