জবিতে হিযবুত তাহরীর লিফলেট বিতরণকালে ঢাবি শিক্ষার্থী আটক
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:২১
জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আন্তর্জাতিক নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ হিযবুত তাহরীর এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের রুমে লুকিয়ে লিফলেট ও চিঠি বিতরণের সময় এক শিক্ষকের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সকাল ৮টায় এক শিক্ষকের অফিসে চিঠি দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা হয়েছে।
প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে লিফলেট বিতরণের সময় তাকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা বাদী হয়ে এ মামলা করবেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি জানান, আটক ওই সদস্যের নাম অনিক খন্দকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকদের রুমে দরজার নিচে দিয়ে কিছু ছেলে চিঠি দিচ্ছিলো। এটা দেখতে পারেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিরাজ হোসেন। এসময় তিনি কথা বলতে গেলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় শিক্ষকের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে একজনকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, আটক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সরকার বিরোধী লিফলেট, স্টিকার, তাদের সংগঠনের বিভিন্ন বক্তব্য সম্বলিত চিঠি, একটি মোবাইল, ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামিতা নিয়ে লেখা একটি ডায়েরি পাওয়া গেছে।
হিজবুল তাহেরীর সদস্যকে আটক করা শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিরাজ হোসেন জানান, সকালে আমার অফিসের দরজার নীচ দিয়ে চিঠি দেওয়ার সময় সন্দেহের বশে আমি দরজা খুলে তিনজনকে দেখতে পাই। এর মধ্যে আমি একজনকে হাতেনাতে ধরি। আর বাকি দুই জন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি তাকে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেই।
কোতোয়ালি থানাধীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই হাসান মাতুব্বর জানান, পালিয়ে যাওয়া হিজবুত তাহরীর অপর দুই সদস্য মুসাইব ও সিফাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আটক অনিক খন্দকারকে কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়েছে।
সারাবাংলা/এনইউ