রোজার আগেই গরুর মাংসের কেজি ৭৮০ টাকা
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:১৯
ঢাকা: রমজান শুরুর আগেই গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা ছুঁই ছুঁই করছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকা বেশি। এই দাম রমজান মাসে আরও বাড়তে পারে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে দাম বাড়ার সুনির্দিষ্ট কারণ তারা বলতে পারেনি। তাদের ভাষ্য বেশি দামে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে বাজার ভেদে গরুর মাংসের দামের তারতম্যও চোখে পড়েছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও, শ্যামলী, কল্যাণপুর ও মোহাম্মদপুর কৃষি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
আগারগাঁওয়ের বিএনপি বাজারের ভাই ভাই মাংস বিতানের মালিক কাদির মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘আজ গরুর মাংস বিক্রি করছি ৭৮০ টাকা কেজি দরে। তবে গত সপ্তাহে দাম কিছুটা কম ছিল। বেশি দামে গরু কেনায় বেশি দামেই আমাদের মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে।’
একই বাজারের আলামিন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘গরুর মাংস ৭৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’ শ্যামলীর কয়েকটি মাংসের দোকান ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০-৭৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর কৃষি বাজারে ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা যায়। বিক্রেতা মনজুর কাদের সারাবাংলাকে বলেন, ‘গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা করে বিক্রি করছি। দাম গত সপ্তাহের চেয়ে একটু বেড়েছে।’
এদিন খাসির মাংস মানভেদে কেজি প্রতি ১০০০-১১০০ টাকা করে বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে পোল্ট্রি মুরগির গত সপ্তাহের মতোই ২১০-২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, হাঁস (বড় আকারের) ৭৫০ টাকা, সোনালিকা ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। আর কবুতর জোড়া প্রতি ৩৫০-৩৭০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিন ফার্মের মুরগির ডিম ১৩০-১৩৫ টাকা ডজন, হাঁসের ডিম ৮০ হালি এবং কোয়েল পাখির ডিম ৫০-৬০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
মোহাম্মদপুর কৃষি বাজারের শামীম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকানের মুরগি বিক্রেতা মহিউদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ সপ্তাহে হাঁস মুরগির দাম বলা চলে স্থিতিশীল আছে। গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি করছি। তবে আগামী সপ্তাহে থেকে হাঁস মুরগির দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এদিন রুই মাছের (এক কেজি বা তার চেয়ে একটু বেশি ওজন) কেজি ৩৫০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০-২৮০ টাকা, পাঙাস ২২০-২৫০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ২৫০-২৬০ টাকা, পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকা, সিং মাছ ৫০০-৫৫০ টাকা এবং ইলিশ মাছ এক বা বেশি ওজনের ২২০০ টাকা, ৮০০-৯৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১৭০০-১৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
শ্যামলী কাঁচা বাজারের মাছ বিক্রেতা আবদুল খালেক বলেন, এক কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ ২২০০-২৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এর চেয়ে ছোট আকারের ইলিশ ১৮০০-২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
আগামী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে রমজান। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান শুরু হওয়ার আগেই গরুর মাংস, পেঁয়াজ, রসুন, বেগুনসহ আরও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে পারে। তবে এজন্য যথাযথ বাজার মনিটরিং দরকার। পাশাপাশি প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কেউ যেন একসঙ্গে না কিনে সেজন্য ক্রেতাদের সচতনতাও বাড়াতে হবে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস