Monday 28 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘গণতান্ত্রিক ধারাটাকে আমরা স্থায়ী করেছি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:২১

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষকে দেখতে হবে কারা মানুষে পাশে আছে। রাজনীতি যদি জনগণের জন্য হয় সে রাজনীতি জনগণের জন্যই এবং জনগণের কল্যাণেই কাজ করে। আর রাজনীতি যদি হয় শুধু ক্ষমতা দখল আর ক্ষমতা উপভোগ করা তাহলে তো মানুষ কিছু পাবে না।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে জার্মানির মিউনিখ সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রথমে সফর নিয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন এবং পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে আসলে রাজনৈতিক দলের অভাব। যেমন-১৯৪৮ সালে আওয়ামী লীগ গঠিত হয়েছিল গণমানুষের কথা বলে এবং সেই সময় থেকে যত আন্দোলন সংগ্রাম করেই কিন্তু আওয়ামী লীগ এগিয়ে গেছে। আমি যদি আমার প্রতিপক্ষ কয়েকটি দল দেখি। একটা তো যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলাম, যাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতা দখল করে কিন্তু তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়।

তিনি বলেন, মিলিটারি ডিটেকটরদের পকেট থেকে যে দুটো পার্টি। একটা হল বিএনপি, অন্যটা জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এখন ক্ষমতার উচ্চ আসনে বসে যে দলগুলো তৈরি হয় আসলে সে দলগুলোর সঙ্গে তো মাটি ও মানুষের সম্পর্ক থাকে না। তাদের শেকড়ের সন্ধানটা কোথায়? কাজেই তাদের চিন্তা-চেতনায় তারা চায় এমন একটা পরিবেশ হোক কেউ তাদেরকে সব করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। সেটা করতে যেয়ে প্রথম যেটা ধরা খেল সেটা হল ২০০৮ সালের নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণায় সব দিক থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমান সমান এমন একটা ভাব ছিল। কিন্তু এদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যে সম্পর্ক এবং মানুষের যে আস্থা, বিশ্বাস আওয়ামী লীগের উপরে আছে সেটা কিন্তু অপপ্রচারের কারণে অনেকটা ঢেকে গিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে দেখা গেল সেই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন করতে পারেনি। সেই নির্বাচনে রেজাল্টটা কি? সেখানে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টা আসন পেল। বিএনপি ২০ দলীয় ঐক্যজোট নিয়ে পেল ৩০টা আসন। এরপর থেকে শুরু হল এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটাকে ধ্বংস করার একটা চেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, বারবার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা সেখান থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক ধারাটাকে অব্যাহত রাখতে পেরেছি। আমার সামনে এটাই থাকবে, যে গণতান্ত্রিক ধারাটাকে আমরা স্থায়ী করেছি। যার শুভফলটা দেশবাসী পাচ্ছে। তাদের জীবনমান উন্নত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে। উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আমরা এগিয়ে যাব।

আমরা কিন্তু আমাদের ইতোমধ্যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১ থেকে ২০৪১ এটা ঘোষণা দিয়েছি। সেখানে প্রত্যেকটা মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হবে এবং বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে এটাই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু আমরা প্রতিপক্ষ কে দেখি জ্বালাও পোড়াও মানুষ খুন করে। রেললাইনে আগুন দেয়, বাসে আগুন দিয়ে খুন করে যাচ্ছে।

টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়ির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার পরনের শাড়িটি ফ্রেঞ্চ শিফন নয় (খালেদা জিয়ার বহুল ব্যবহৃত দামি শাড়ি)। এটা শফিপুর আনসার ক্যাম্প থেকে কেনা একটি তাঁতের শাড়ি, যাকে তিনি শফিপুর শিফন বলে পরিচয় করিয়ে দেন।

তিনি বলেন, টানা কয়েকদিন টাঙ্গাইলের শাড়ি পড়লাম এই জন্য যেন, দেখাতে পারি এটা আমাদের শাড়ি।
এটা যে আমাদের, এইজন্য একটানা কয়েকদিন টাঙ্গাইল পরলাম। কাজেই এটা অন্য কেউ নিতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, সফিপুরে আনসার ভিডিপির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম ওখান থেকে কেনা শাড়ি আমার। কাজেই বুঝতে হবে, আমি এদেশে মাটি ও মানুষের সঙ্গে আছি।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪’এ যোগ দিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি জার্মানি যান এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেন। এ সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি বিশ্ব নেতাদের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর পাশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সারাবাংলা/এনআর/এনইউ

আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক ধারা টপ নিউজ বাংলাদেশ স্থায়ী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর