ঢাকা: বেলা ২টা বেজে ৪৮ মিনিট। বইমেলার শিশু চত্বরে মঞ্চের উপর চলছে একের পর এক গান-অভিনয়-নৃত্য। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি, এমনকি সমসাময়িক বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চর্চার সবকিছুই যেন নাচে-গানে-অভিনয়ে ফুটিয়ে তুলছে একদল শিশু-কিশোর।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বইমেলার শিশুচত্বর প্রাঙ্গণে এই অসাধারণ পরিবেশের সৃষ্টি করেন কসমো স্কুলের বনশ্রী শাখার ৪০ জন শিক্ষার্থী। অংশ নেওয়া ৪০ জন শিক্ষার্থীদের সবাই দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পড়ুয়া।
শনিবার ছুটির দিনে এমনিতেই ব্যস্ত থাকা বইমেলায় আলাদা আমেজ এনে দেয় এই প্রদর্শনী। সিসিমপুর চত্বরে প্রদর্শনীটির শুরু হয় বেলা ২টা ৪৮ মিনিটে। প্রায় আধাঘণ্টার এই স্লটে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ঋতু বৈচিত্র্য, অসাম্প্রদায়িক চর্চা— এসব কিছু মঞ্চস্থ করেন কসমো স্কুলের শিক্ষার্থীরা। কোনো প্রেক্ষাপট নাচে, কোনোটিবা গানে কিংবা অভিনয়ে দৃশ্যমান করেন তারা।
স্কুলটির কো-অর্ডিনেটর নীপা তাসনীম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের স্কুলের প্রায় ৪০জন শিক্ষার্থী এই পারফরম্যান্সটি করেছে। আমরা সময় পেয়েছি ৩০ মিনিটের মতো। এর মধ্যে নাচ, গান, অভিনয়সহ বিভিন্ন ফর্মে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতার চর্চার মতো বিষয়গুলো শিশুদের জন্য তুলে ধরেছে শিক্ষার্থীরা।’
এদিকে, বইমেলার ২৪তম দিনে আজ নতুন বই প্রকাশ পেয়েছে ১৩৮টি। এ ছাড়া, বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ: মোহাম্মদ রফিক’ এবং ‘স্মরণ: খালেক বিন জয়েনউদদীন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে আলতাফ শাহনেওয়াজ এবং সুজন বড়ুয়া।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আবুল মোমেন বলেন, ‘কবি মোহাম্মদ রফিক এবং ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক খালেক বিন জয়েনউদদীন তাদের সাহিত্যপ্রতিভা দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছেন। সাহিত্যচর্চার মধ্য দিয়ে তারা এ দেশ ও গণমানুষের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পালনের চেষ্টা করেছেন। নুতন প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলা ও ইতিবাচক মনোগঠনে তাদের সাহিত্যকর্ম অপরিসীম ভূমিকা রাখবে।’