Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাসায়নিক উপকরণের অভাবে ১ বছর ধরে অকেজো রক্ত পরীক্ষার মেশিন

এমদাদুল ইসলাম ভূট্টো, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৩

ঠাকুরগাঁও: রক্ত পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক উপকরণ (রিয়েজেন্ট) না থাকায় এক বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের হেমাটোলজি অ্যানালাইজার মেশিন। এতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দ্রুত সময়ে নির্ভুল ও নিখুঁতভাবে রক্ত পরীক্ষা শনাক্তকরণের জন্য ২০২৩ সালের মার্চে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) একটি হেমাটোলজি অ্যানালাইজার মেশিন দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

মেশিনটি হস্তান্তরের এক মাস পর এর প্রয়োজনীয় উপকরণ রাসায়নিক (রিয়েজেন্ট) সংকট দেখা দেয়। গত এক বছরে রিজেন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সচল যন্ত্রটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা একাধিক রোগী ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চিকিৎসককে দেখানোর পরে রিপোর্ট পেতে দেরি হয়। ফলে দ্বিতীয়বার চিকিৎসককে দেখানো সম্ভব হয় না। কারণ, নির্দিষ্ট সময়ের পরে বর্হিবিভাগের চিকিৎসক আর থাকেন না। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোগী ও রোগীর স্বজনদের।

আশরাফুল নামে এক ব্যক্তি সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকাল ১০টায় হাসপাতালে এসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরে টিকিট কেটে পৌনে একটায় ডাক্তারের কক্ষে ঢোকার সুযোগ পেয়েছি। চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা দিয়েছে। রিপোর্ট যে কখন পাব তার ঠিক নেই। রিপোর্ট পাওয়ার পরে ডাক্তার দেখাতে পারব কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি।’

আসমা বেগম নামে এক রোগীর স্বজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘মাকে ডাক্তার দেখিয়ে রক্ত পরীক্ষা করিয়েছি। দুই ঘণ্টা পর এখন রিপোর্ট দিচ্ছে। আরও দ্রুত সময়ে রিপোর্ট হাতে পেলে চিকিৎসককে সময় মতো দেখাতে পারতাম। এর জন্য আরেক দিন আসতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাব (ইনচার্জ) ফনিন্দ্রনাথ মন্ডল সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেখানে টেকনোলজিস্টদের হাতে পরীক্ষা করতে সময় লাগে এক ঘণ্টার মতো, সেখানে মাত্র দুই মিনিটে হেমাটোলজি অ্যানালাইজার মেশিন দিয়ে শতভাগ নিখুঁত রিপোর্ট পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে এ মেশিনে এক হাজার রোগীর রক্ত পরীক্ষা করা যায়। রিয়েজেন্টের অভাবে এটি বন্ধ হয়ে আছে।’

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। রিয়েজেন্ট হাতে পেলে মেশিনটি ফের চালু হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার যোগদানের তিন মাস হয়েছে। এর আগে, কেন চালু হয়নি বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ইতোমধ্যে রিয়েজেন্টের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে।’

সারাবাংলা/পিটিএম

রক্ত পরীক্ষার মেশিন রিয়েজেন্ট

বিজ্ঞাপন

বিদেশ বিভুঁই। ছবিনামা-১
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর