বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন শেষ হচ্ছে না, জানতে চান ড. মঈন
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:২৯
ঢাকা: পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘আপিল শুনানির ১৫ বছর পার হয়েছে, কিন্তু ফয়সালা হয়নি। ২০১১ সালে আরেকটি বিস্ফোরক মামলা দেওয়া হয়েছিল, সেই মামলার বিচার কাজও শেষ হয়নি। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন এভাবে বিলম্বিত হচ্ছে, কেন বিচার কাজ শেষ হচ্ছে না?’
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বনানী সামরিক কবরাস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এসব প্রশ্ন তোলেন।
ড. মঈন খান বলেন, ‘ইংরেজি ভাষায় একটি কথা আছে যে, যদি বিচার বিলম্বে হয় তাহলে সেই বিচারের কোনো মূল্য থাকে না। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া এখনও ঝুলে আছে। সেই অভিযোগে যাদের ধরা হয়েছিল, তারা কেন বিনা বিচারে কারাগারে আছে?’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা আর কোনো জাতির ইতিহাসে কখনও ঘটেছে কিনা আমাদের জানা নেই। আজকে আমরা শুধু একটি কথাই বলব, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক যেন সুশাসনের মাধ্যমে, আইনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পান। অপরাধী শাস্তি পাবে সে সম্বন্ধে আমাদের কিছু বলার নাই।’
‘কিন্তু বাংলাদেশের প্রোসপোডেন্স এবং জাস্টিস সিস্টেম দাঁড়িয়ে আছে সেখানে একটি কথা বলা আছে, কোনো দোষী ব্যাক্তি যদি আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে যায় সেটা হতে পারে না। কিন্তু একজন নির্দোষ ব্যক্তিও যেন শাস্তি না পায়। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করে বিডিআরের দুঃখজনক ট্র্যাজেডির পর যারা এই সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন, তাদের সুবিচার কামনা করি’— বলেন ড. মঈন খান।
তিনি আরও বলেন, ‘বিচার কাজে কখনো কোনো ইন্টারফেয়ারেন্স করা যুক্তিযুক্ত নয়। এটা বিচারাধীন বিষয়, আমাদের যারা বিচারক রয়েছেন তাদের যে নীতি সেই নীতিতে অবিচল থেকে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে এই বিষয়টি অতি দ্রুত সুরাহা করবেন আজকে ১৫ বছরের পরে আমরা সেই প্রত্যাশা করি।’
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জয়নাল আবেদীনসহ তৎকালীন বিডিআরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/এজেড/এমও