Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভুলনীতি ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো : সরকারের ভুলনীতি ও দুর্নীতির কারণেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে চট্টগ্রামের এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর সিনেমা প্যালেস মোড়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ অভিযোগ করা হয়।

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে কমিউনিস্ট পার্টিরা নেতারা বলেন, সরকারের ভুল-নীতি ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। এর দায় সাধারণ জনগণ কেন নেবে? আইএমএফ’র শর্ত পূরণ করতেই সরকার ভর্তুকি প্রত্যাহারের নামে জনগণের কাঁধে দাম বাড়ানোর বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এমনিতেই নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। অথচ বাড়েনি সাধারণ মানুষের আয়।’

বিদ্যুৎ উৎপাদনে কুইক রেন্টাল পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। ফলে পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের কাঁধে ওই উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়ানোর বোঝা চাপাবে। রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বন্ধ করে বিদ্যুৎ খাতে দায়মুক্তি আইন বাতিল করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমাতে হবে।

দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুর দাবি জানিয়ে বাম নেতারা বলেন, রমজান মাস আসেনি। অথচ এখনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। পণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সব কিছু সিন্ডিকেটের অধীনে চলে গেছে।

তারা বলেন, দেশের উৎপাদিত ফসলের উৎপাদন মূল্য কমিয়ে সারা দেশে কম খরচে চাঁদা-মুক্তভাবে পরিবহন ব্যবস্থা চালু এবং ‘উৎপাদক ও ক্রেতা সমবায় গড়ে তোলা’র মধ্য দিয়েই উৎপাদকের ও ক্রেতার স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দক্ষ, দুর্নীতি-মুক্তভাবে বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা, সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও সারাদেশে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু ছাড়া এই সংকটের সমাধান করা যাবে না।

বিজ্ঞাপন

ঋণ খেলাপিদের তালিকা এবং অর্থ পাচারের অনুসন্ধান ও শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়ে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুটপাট হয়ে গেলেও এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। উল্টো আমরা দেখতে পাই শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য মজুরির জন্য আন্দোলন করলে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি দেওয়া হয় না। এসব ঋণখেলাপিরা সরকারের রাজনৈতিক আশ্রয়ে হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। অবিলম্বে এসব খেলাপি ঋণ গ্রহীতাদের তালিকা প্রকাশ, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং এদের বিদ্যুৎ, পানির লাইন কেটে দিতে হবে।

জেলা সিপিবির সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য উত্তম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ছাত্রনেতা এ্যানি সেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- জেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর, সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া, সদস্য সিতারা শামীম, যুবনেতা রুপন কান্তি ধর ও ছাত্রনেতা শুভ দেবনাথ।

সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম

বিদ্যুতের দাম ভুলনীতি ও দুর্নীতি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর