Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৬ মাস পর কবর থেকে আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উত্তোলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৩

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর উপজেলার হাট বালিগাঁও কবরস্থান থেকে মৃত্যুর ছয় মাস পরে আওয়ামী লীগ নেতা আজগর হোসেন চঞ্চল বেপারীর মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে হাট বালিগাঁও কবরস্থান থেকে এই মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়। মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর শরীফ ফাহাদ এর উপস্থিতিতে এই লাশ উত্তোলন করা হয়।

নিহত আজগর হোসেন চঞ্চল মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মামলার বাদী সুমী আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার দিকে নিজের কাজ করার জন্য বাড়ির বাইরে যান চঞ্চল। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে চঞ্চল তার স্ত্রীর মোবাইলে ফোন দেয়। এ সময় সুমী আক্তার বাকবিতণ্ডা ও চেঁচামেচি শুনতে পান। আপনার সঙ্গে কে বা কারা আছে জানতে চাইলে চঞ্চল জানায়, তার সঙ্গে বালিগাঁও গ্রামের রিটু, হাবিবুর রহমান সোহেল, গহি নিতাই দাস ও উত্তম সরকারসানীসহ আরও কয়েকজন রয়েছে। পরে ওই দিন রাতেই ইসলামপুর রাস্তার পাশে চঞ্চলকে মুমূর্ষু অবস্থায় পাওয়া যায়।

ঢাকায় নেওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর চঞ্চল মারা যান। পরে কতিপয় ব্যক্তি ও এ মামলার আসামিরা বাদী সুমি আক্তারকে জানান যে, চঞ্চল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে। পরে নিহতের পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে‌ পোস্ট মর্টেম ছাড়াই চঞ্চলকে কৌশলে মাটি দিতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে সুমি আক্তার জানতে পারে, তার স্বামীর বুকের হাড় ৯টি ভাঙা ছিল এবং পিঠের হাড় ৩ জায়গায় ভাঙা ছিল।

চঞ্চলের স্ত্রী সুমী বেগম বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে সি.আর মামলা- ৪১৬/২৩, ধারা ৩০২/৩৪ দণ্ডবিধি দায়ের করেন। সেখান থেকেও মামলাটি খারিজ করে দিলে মুন্সীগঞ্জ জজ আদালতে ফৌঃ রিভিশন মোকদ্দমা নং- ১৫১/২০২৩ মামলা দায়ের করা হয়। পরে ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে টঙ্গিবাড়ী থানাকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে নিতে আদেশ দেন আদালত।

এ বিষয়ে মামলার বাদী সুমী আক্তার বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ছিল। যখন আমার স্বামী চঞ্চল মারা যান তখন আমি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দিই।’

‘সে সময় আমি অনেক অসুস্থ ছিলাম। বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। যারা আমার স্বামীরে মারছে তারা দ্রুত কৌশলে তার দাফনের কাজ সেরে ফেলে। পরে জানতে পারলাম ওরা পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে মেরে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে। বালিগাওঁ গ্রামের মোফাজ্জল কমান্ডার এর ছেলে রিটু, যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান সোহেল, নিতাই দাস, উত্তম সরকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে পরিকল্পিতভাবে মেরে আমার স্বামীকে রাস্তার নির্জন স্থানে ফেলে রেখে গেছে। আমি তাদের আসামি করে মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেছি।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টঙ্গীবাড়ী থানা এসআই আল মামুন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে টঙ্গীবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়। যার নম্বর ১৬ (১) ২৪। ওই মামলায় আদালত লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দিয়েছেন। মরদেহ মুন্সীগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সারাবাংলা/একে

আওয়ামী লীগ টপ নিউজ মুন্সীগঞ্জ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কুষ্টিয়া থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৮

সম্পর্কিত খবর