Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি দূর করতে পারব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৪২

ঢাকা: স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম-দুর্নীতি অবশ্যই দূর করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। এ জন্য তিনি জাতীয় সংসদ সদস্যদের তার সঙ্গে থাকার অনুরোধ জানান।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ অনুরোধ জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রশ্নে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আপনার মন্ত্রণালয়ে (স্বাস্থ্য) ড্রাইভার একশ কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। একজন অ্যাকাউন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট স্ত্রীসহ তিনশ কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। অস্ট্রেলিয়ায় টাকা পাচার করেছেন, দুদকে এর প্রমাণও রয়েছে। আপনি উদ্যোগ নিয়েছেন বেআইনি ক্লিনিক, হাসপাতাল উচ্ছেদের। পারবেন কি না, জানি না, তবে পারা দরকার। এ অভিযান আপসহীনভাবে শেষ পর্যন্ত সমাধান করার মতো সাহস-ইচ্ছা আপনার আছে কি না?’

এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমি একটা কথাই বলব, আমি পারব। আমি যদি আপনারা, সংসদ সদস্যরা আমার সঙ্গে থাকেন, আমি নিশ্চয়ই পারব। এটুকুই বলতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার সবিনয় অনুরোধ আপনারা প্রত্যেকের এলাকায় যেসব ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক স্টোর আছে, সেগুলো ভিজিট করুন। ভিজিট করে দেখুন, তাদের যা যা সুবিধা সেগুলো আছে কি না, লাইসেন্স আছে কি না। আমি একটা কথা সব সময় স্পষ্টভাবে বলি, মানুষের জীবন কিন্তু একটাই। এ জীবন ভুল চিকিৎসায় চলে গেলে সে জীবন আর ফিরে আসবে না। অতএব আপনারা আমাকে সাহায্য করুন, আমাকে জানান কোথায় কোন অবৈধ ক্লিনিক। আমি সব হাসপাতাল বন্ধ করার পক্ষে নই। হাসপাতাল থাকবে, উপযুক্ত সরঞ্জাম যদি থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই হাসপাতাল চলবে।’

এ সময় সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য তারানা হালিমের আরেক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যখন অগ্নিসন্ত্রাস হচ্ছিল, বাসে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো হচ্ছিল। তখন যে রোগীরা আসছিলেন, তখন তাদের বার্ন ছিল ৩০- ৪০ শতাংশ। অনেকের শ্বাসনালি পুড়ে যায়, অনেকে মারা যান, ট্রমাটাইজড হয়েছেন। এই যে মেন্টাল ট্রমা, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেন্টাল ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসা খুবই কঠিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে একজন সাইকোলজিস্ট এখানে কাজ করছেন। তাদের সবচেয়ে বড় দরকার হলো পুনর্বাসন। যদি তাদের যথাযোগ্য পুনর্বাসন হয়, তাহলে তারা হয়তো মেন্টাল প্রেশার থেকে মুক্তি পাবেন।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

টপ নিউজ দুর্নীতি সামন্তলাল সেন স্বাস্থ্যখাত


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর