বেইলি রোডে আগুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
১ মার্চ ২০২৪ ০৮:৫৫
ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ থেকে গ্রিন কোজি কটেজে ছড়িয়ে পড়া আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১৪ জন ও বার্ন ইনস্টিটিউটে আটজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতপতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢামেক হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন মৃতের তথ্য নিশ্চিত করেন।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন উপিস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে মোট ৪৪ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ১ জন, ঢামেক হাসপাতালে ৩৩ জন ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনের মরদেহ রয়েছে।
এর আগে, রাতে ঢামেক হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা মেডিকেলে ১৪ জন ও বার্ন ইনস্টিটিউটে আটজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এরবা বাইরেও কেউ কোথাও ভর্তি আছেন কি না, এ তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
রাত ২টার দিকে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঢামেক হাসপাতালে যেসব মরদেহ রয়েছে তাদের মধ্যে ১৩জন নারী, ১৪ জন পুরুষ ও তিনটি শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে। বার্ন ইনস্টিটিউটের মরদেহগুলোর লিঙ্গ পরিচয় এখনো শনাক্ত করা হয়নি।
বেইলি রোডের ওই ভবনে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে আগুন লাগে। ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছিল। এর আগে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিস।
ভবনটির ছাদসহ বিভিন্ন তলায় অনেকেই আটকা পড়েছিলেন। টার্ন টেবল ল্যাডার (টিটিএল) ব্যবহার করে ছাদ ও বিভিন্ন তলা থেকে সবাইকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও বিজিবি সদস্যরা।
সারাবাংলা/এনএস