Wednesday 09 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বেইলি রোডে আগুনে মৃত্যু অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১ মার্চ ২০২৪ ১৩:৫৫

ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনাকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব।

শুক্রবার (১ মার্চ) বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রিন কোজি কটেজ ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাপা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।

ইকবাল হাবিব বলেন, ‘এই ভবনটি নির্মাণে রাজউকের আইন, ফায়ার সার্ভিসের আইন, বিভিন্ন সেবা সংস্থাসমূহের আইন, বিস্ফোরক অধিদফতরের আইন, রেস্টুরেন্টে পরিচালনা করার আইন এবং সিটি করপোরেশনের আইন পুরোপুরি ভুললণ্ঠিত করে রেস্টুরেন্টে পরিচালনা করা হয়েছে। তাই আমি এটাকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বলতে চাই।’

এর আগে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত প্রত্যেককের পরিবারকে দাফন-কাফন বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

গ্রিন কোজি কটেজের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ মারা গেছেন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১২ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

ঢামেক হাসপাতাল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে রোগীতের দেখার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জন হয়েছে। ঢামেক হাসপাতাল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুরো ভবনটিতে বদ্ধ অবস্থায় তৈরি হয়েছিল। এই অবস্থায় সেখানে অতিরিক্ত ধোঁয়া ও তাপে কেউই শ্বাস নিতে পারছিলেন না। তাই যারা মারা গিয়েছেন সবাই শ্বাসনালী পুড়ে মারা গেছেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘যারা চিকিৎসাধীন আছেন তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নন। অনেক সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন দিয়ে রোগীদের খোঁজ-খবর নেন। সবার চিকিৎসার দায়িত্ব তিনি নিজেই নিয়েছেন।’

এর আগে, বেইলি রোডের ওই ভবনে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে আগুন লাগে। ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছিল। এর আগে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিস।

ভবনটির ছাদসহ বিভিন্ন তলায় অনেকেই আটকা পড়েছিলেন। টার্ন টেবল ল্যাডার (টিটিএল) ব্যবহার করে ছাদ ও বিভিন্ন তলা থেকে সবাইকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও বিজিবি সদস্যরা।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস

গ্রিন কোজি কটেজ টপ নিউজ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বেইলি রোড স্থপতি ইকবাল হাবিব

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর