ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনের নিচতলার গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া বহুতল ভবনের সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি এ তথ্য জানান।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘এই ভবনের অগ্নি নিরাপত্তার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ভবনে প্রবেশের জন্য একটি সিঁড়ি রয়েছে। অর্থাৎ ভবনে চলাচলের একটিই পথ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভবনের চার তলায় গ্যাসের সিলিন্ডার দেখতে পেয়েছি, সেখানে এখনো সিলিন্ডার আছে, সেখানে গেলে আপনারাও সিলিন্ডার দেখতে পাবেন।’
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘এই ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তদন্ত করলে সঠিক কারণ বলা যাবে। আমাদের প্রাথমিক ধারণা হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে এই বিস্ফোরণ হতে পারে।’
এর আগেও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বিবেচনায় এই ভবনটিকে তিনবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিজি।
এর আগে, সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত প্রত্যেককের পরিবারকে দাফন-কাফন বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের সবাইকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানান তিনি।
এর আগে, বেইলি রোডের ওই ভবনে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে আগুন লাগে। ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছিল। এর আগে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিস।
ভবনটির ছাদসহ বিভিন্ন তলায় অনেকেই আটকা পড়েছিলেন। টার্ন টেবল ল্যাডার (টিটিএল) ব্যবহার করে ছাদ ও বিভিন্ন তলা থেকে সবাইকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও বিজিবি সদস্যরা।
এই অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১২ জন চিকিৎসাধীন আছেন।