ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ভবনটিকে ৩ বার নোটিশ দেওয়া হয়: ডিজি ফায়ার
১ মার্চ ২০২৪ ১৫:২৫
ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডের সাততলা গ্রিন কোজি কটেজের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বিবেচনায় এই ভবনটিকে তিনবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (১ মার্চ) ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ডিজি ফায়ার সার্ভিনের ডিজি এসব কথা বলেন। এই অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১২ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘এই ভবনে কোনো অগ্নি নিরাপত্তার পরিকল্পনা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ বলে ভবনটির কর্তৃপক্ষকে তিনবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল ‘
তিনি আরও বলেন, ‘এই ভবনের প্রবেশের জন্য একটি সিড়ি রয়েছে। অর্থাৎ ভবনে চলাচলের একটিই পথ ছিল। ভবনের চার তলায় গ্যাসের সিলিন্ডার দেখতে পেয়েছি, সেখানে এখনো সিলিন্ডার আছে, সেখানে গেলে আপনারাও সিলিন্ডার দেখতে পাবেন।’
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, ‘এই ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তদন্ত করলে সঠিক কারণ বলা যাবে। আমাদের প্রাথমিক ধারণা হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে এই বিস্ফোরণ হতে পারে।’
এর আগে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত প্রত্যেককের পরিবারকে দাফন-কাফন বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের সবাইকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানান তিনি।
এর আগে, বেইলি রোডের ওই ভবনে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে আগুন লাগে। ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছিল। এর আগে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিস।
ভবনটির ছাদসহ বিভিন্ন তলায় অনেকেই আটকা পড়েছিলেন। টার্ন টেবল ল্যাডার (টিটিএল) ব্যবহার করে ছাদ ও বিভিন্ন তলা থেকে সবাইকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও বিজিবি সদস্যরা।
এই অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১২ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস
গ্রিন কোজি কটেজ টপ নিউজ বেইলি রোড ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন