Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বইমেলার শেষ শিশুপ্রহরে হয়নি কাঙ্ক্ষিত ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১ মার্চ ২০২৪ ২০:৫২

ঢাকা: বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ শিশুপ্রহর। শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দু’দিন শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন ঘিরে জমজমাট হয়ে ওঠে বইমেলা। সিসিমপুরের চরিত্রদের সঙ্গে নাচেগানে আনন্দে মেতে ওঠে বিভিন্ন বয়সী শিশুরা। কিন্তু বইমেলার বর্ধিত সময়ের শেষ শিশুপ্রহরে হয়নি কাঙ্ক্ষিত ভিড়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বইমেলা দুইদিন বেড়েছে এই তথ্য না জানায় অনেকেই আসেননি। আবার বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রভাবেও জনসমাগম কম হতে পারে।

শুক্রবার (১ মার্চ) বইমেলার শিশু চত্বরে গিয়ে বেশ কিছু শিশুকে খেলতে দেখা গেছে। তবে অন্যান্য শুক্রবারের তুলনায় এই ভিড়কে বলা যায় নগন্য।

গোপীবাগ থেকে মায়ের সঙ্গে এসেছে সাড়ে তিন বছরের আফরা। আজই প্রথম শিশুপ্রহরে এলো সে। আফরার মা জানান, বইমেলার শুরুতে মেয়ে অসুস্থ ছিল। আর মেলার যে দুইদিন সময় বেড়েছে তা তিনি জানতেন না। আজ একটা কাজে এদিকে এসেছিলেন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার জন্য বইমেলা খোলা আছে দেখে ঢুকেছেন।

রামপুরা থেকে এসেছে তিন বছরের সাফিয়া আরাফাত চন্দ্র। আফরার মতই অসুস্থ থাকায় এবার আর বইমেলার শিশুপ্রহরে আসা হবে না ভেবেছিলেন চন্দ্র’র বাবা। চন্দ্র’র বাবা-মা জানালেন, নিজেরা অন্যান্যদিন এলেও আজ মেলার সময় বাড়ায় ও মেয়ে সুস্থ হওয়ায় শিশুপ্রহরে এসেছেন। বয়স তিন হলে কী হবে- এই বয়সেই ভূতের বই দারুণ পছন্দ চন্দ্র’র। মায়ের কাছে ভূতের বই কিনে দেওয়ার জন্য বায়না করছিলো সে।

সিসিমপুরের মঞ্চে ওঠার সিঁড়িতে স্বল্প পরিসরে স্লাইডে চড়ার আনন্দ উপভোগ করছিলো কাব্য ও তার বোন ফালাক। আদাবরের শেখেরটেক থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে এসেছে তারা। সেন্ট জোসেফ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সাহাবি ইবনে কাব্য প্রতিবছরই বইমেলা এলেও এবার সিটি থাকায় আসতে পারেনি। আজ মেলা দু’দিন বাড়ায় আসার সুযোগ পেল।

আর ভাইয়ের পরীক্ষা থাকায় আসতে পারেনি কাব্য’র ছোট বোন প্রিপারেটরি স্কুলের কেজি শ্রেণির ছাত্রী সাদাত বিনতে ফালাক। কাব্যর পছন্দ সাইন্স ফিকশন আর ফালাকের আলাদা পছন্দ নাই। তবে দুই ভাইবোনেরই অবসর কাটে বই পড়ে ও ছবি এঁকে। ওদের ব্যবসায়ী বাবা ও গৃহিণী মা জানালেন, সন্তানদের হাতে ডিভাইস তুলে দেননি তারা। খেলাধুলা, বই পড়া আর ছবি এঁকে সময় পার করে ওরা। বই পড়ার অভ্যাস করতে ও বইমেলার গুরুত্ব বোঝাতে বইমেলায় নিয়ে এসেছেন ওদের।

শিশুপ্রহরে ভিড় না হওয়ার প্রভাব পড়েছে আশপাশের শিশুদের বইয়ের দোকানগুলোতেও। একাধিক স্টলে কথা বলে জানা গেল অন্য শুক্রবার দম ফেলার সময় না পাওয়া গেলেও আজ সকাল থেকে মাছি মারছেন তারা। দু’দিন মেলা বাড়ায় বিরক্তিও জানালেন অনেকে। মেলার সময় বাড়লে তাদের পারিশ্রমিকও বাড়ার কথা। তবু কেন বিরক্তি জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘এবার এমনিতেই বিক্রিবাট্টায় ভাটা। আর দুইদিন মেলা বাড়ানোর খবর কেউ জানে বলে মনে হয় না। অলস সময় কাটানোর চেয়ে মেলা শেষ হলেই ভালো।’

সাত ভাই চম্পা প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী রিয়া এবং সীমা, তকদুম প্রকাশনীর সানজিদার কণ্ঠে বিক্রি ভালো না হওয়ায় হতাশার সুর। তারা বলেন, ‘মেলায় এত মানুষ কিন্তু বই কেনার মানুষ নাই।’ আবার খবর না দেখা বা পড়ার অভ্যাসকেও দায়ী করলেন তারা। বললেন, ‘অনেকে জানেই না মেলার সময় বেড়েছে। না হলে শুক্রবার এমন অবস্থা হয়!’

সারাবাংলা/আরএফ/এমও

কাঙ্ক্ষিত ভিড় টপ নিউজ বইমেলা বইমেলা ২০২৪ শিশুপ্রহর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর