Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিটি নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন এমপিরা


২৪ মে ২০১৮ ২১:২৭

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠেয় গাজীপুরের পরবর্তী সব সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় সংসদ সদস্যরা অংশ নিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (২৪ মে) নির্বাচন কমিশনের সভায় এমপিদের প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ রেখে আচরণবিধির সংশোধিত খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, সংশোধিত আচরণবিধি আগামী রোববার (২৭ মে) আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তবে তফসিল ঘোষণা হওয়ায় ২৬ জুন গাজীপুর সিটি নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে পারবেন না সংসদ সদস্যরা।

ইসি সচিব বলেন, সংসদ সদস্য পদ লাভজনক বিবেচনা করে এতদিন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নিতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। এখন কমিশন বলছে, এমপিদের পদ লাভজনক নয়। তাই তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবেন। এই সংক্রান্ত সংশোধনী নির্বাচন কমিশন অনুমোদন করেছে।

ইসি সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দাবির প্রেক্ষিতে গত মাসেই এমপিদের নির্বাচনে প্রচারের অংশ নেওয়ার বিষয়ে আচরণবিধি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশেষ করে গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাবচনকে সামনে রেখেই দ্রুত আচরণবিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

গত ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। একই তারিখে গাজীপুর সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আদালতের রায়ে তা স্থগিত হয়ে যায়। পরে আদালত স্থগিতাদেশ উঠিয়ে নিলে ২৬ জুন গাজীপুর সিটি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, সংসদ সদস্যরা কোনো অফিস হোল্ড করেন না। সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন না। নিজের কেনা গাড়ি ব্যবহার করেন। তাদের জন্য কোনো সরকারি কর্মকর্তাও যুক্ত নেই। সিটি করপোরশন আচরণ বিধিমালায় বিভিন্ন ধরনের ১১টি সংশোধনী আনার প্রস্তাব কমিশন অনুমোদন করেছে। তিনি বলেন, “কোনো নির্দিষ্ট সিটি করপোরেশন নয়, সব সংসদ সদস্যের জন্য এটা ওপেন থাকবে। লাভজনক পদ না হওয়ায় তাদের ওপর থেকে এই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলো। তবে সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সংসদ সদস্য পদ থেকে তাদের অব্যাহতি নিতে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ইসির স্টেকহোল্ডার। তাদের প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করেই সংশোধনীর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিতে পারলেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা তারা নিতে পারবেন না। সংসদ সদস্যরা ভোটের সময় ডাকবাংলো ব্যবহারের সুযোগ পাবেন না।

উল্লেখ্য ২০১৫ সালে দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের পর মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। প্রাথমিকভাবে মন্ত্রী-এমপিদের নাম উল্লেখ না করে সরকারি সুবিধাভোগীদের প্রচারের (সরকারি যানবাহন, প্রচারযন্ত্র বাদ দিয়ে) সুযোগ করে দিয়ে বিধির খসড়া তৈরি করে তৎকালীন কাজী রকিবউদ্দীনের কমিশন। এই নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে সরকারি সুবিধাভোগীদের সফর ও প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও মন্ত্রী-সংসদ সদস্য প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আচরণবিধি করা হয়।

সারাবাংলা/জিএস/এটি

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর