Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রস্তাবিত কোম্পানী আইন বাস্তবায়নে বাড়বে রাজস্ব


২৪ মে ২০১৮ ২২:০৫

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: প্রস্তাবিত কোম্পানী আইন বাস্তবায়িত হলে অনেক নতুন কোম্পানি কর নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবে। এতে সরকারের রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বাড়বে। তাই অর্থনীতির সামগ্রিক কল্যাণ ও ব্যবসায়ী সমাজের প্রয়োজন কোম্পানি আইনের সংস্কার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মে) বিকেলে ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তরা এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

“বেসরকারিখাতের উন্নয়নে কোম্পানী আইনের সংস্কার” শীর্ষক বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই’র সমন্বয়কারী পরিচালক নূহের লতিফ খান।

এম এ মান্নান বলেন, কোম্পানী আইন প্রণয়ন ও চূড়ান্ত করণের ক্ষেত্রে সরকার সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। সংশোধিত কোম্পানী আইনে ব্যবসায়ীদের আশা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে। তিনি বলেন, আমাদের শাসন ব্যবস্থায় প্রচুর অপ্রয়োজনীয় আইন রয়েছে, যেগুলো বাদ দেওয়া প্রয়োজন এবং সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু বলেন, কোম্পানী আইনটি এই উপমহাদেশে প্রথম প্রণয়ন করা হয়েছিল ১৯৩০ সালে, যেটির প্রথম সংস্কার করা হয় ১৯৯৪ সালে। ব্যবসায়ী সমাজের প্রয়োজন ও অর্থনীতির সামগ্রিক কল্যাণের লক্ষ্যে বর্তমানে এটির সংস্কার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, কোম্পানী আইন সংস্কারের ক্ষেত্রে শেয়ার ট্রান্সফার, কর নীতিমালা এবং নিবন্ধন ফি কমানোর বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। বর্তমানের আমাদের রফতানির পরিমাণ ৩৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, তবে এক্ষেত্রে তৈরি পোশাক খাতের অবদান প্রায় ৯৩ শতাংশ এবং আমাদের রফতানির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য নীতিমালা সংস্কার, বাজার সম্প্রসারণ এবং পণ্যের বহুমুখিকরণের কোনো বিকল্প নেই।

ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে হলে ব্যবসা পরিচালনায় সহজাত পরিবেশ তৈরির বিষয়টি অত্যন্ত গুররুত্বপূর্ণ। প্রস্তাবিত কোম্পানী আইন কার্যকর হলে অনেক নতুন কোম্পানি করের আওতায় আসবে। তাতে সরকারের রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বাড়বে।

নির্ধারিত আলোচনায় বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সিনিয়র ইকোনমিস্ট ড. এম মাশরুর রিয়াজ, আইসিএবি’র সাবেক সভাপতি আদিব এইচ খান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির ইজাজ বিজয় অংশ নেন।

ড. এম মাশরুর রিয়াজ বলেন, প্রস্তাবিত কোম্পানী আইনের সহজ হওয়া আবশ্যক। ডুইং বিজনেস সূচকে অগ্রগতি লাভ করতে হলে আমাদের কোম্পনী আইন সহজ করার বিকল্প নেই।

আদিব এইচ খান বলেন, আরজেএসসি কার্যক্রম পরিচালনায় ইতোমধ্যে বেশ কিছু অগ্রগতি এসেছে এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।

নাসির ইজাজ বিজয় বলেন, নতুন কোম্পানির নিবন্ধন প্রক্রিয়া যেন দ্রততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যায় সেই বিষয়টি কোম্পানী আইনে আগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন।

মূল প্রবন্ধ নূহের লতিফ খান বলেন, কোম্পানী আইন সংস্কারের বিষয়টি এখন সময়ের দাবি। ব্যবসায়িক বিরোধ নিষ্পত্তিতে আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনেত হাইকোর্টে ডিভিশানে দুই বা ততোধিক বেঞ্চ গঠনের প্রস্তাব করেন তিনি।

মুক্ত আলোচনায় ডিসিসিআই’র সাবেক সভাপতির রাশেদ মাকসুদ খান, মাতিউর রহমান, আসিফ ইব্রাহীম, আইডিএলসি’র সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান, ডিসিসিআই’র সাবেক সহ-সভাপতি হায়দার আহমেদ খান বক্তব্য রাখেন।

সারাবাংলা/জিএস/এটি

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর