Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রিন্ট করে রুমে রুমে নকল সরবরাহ করছিলেন অধ্যক্ষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩ মার্চ ২০২৪ ১৮:৫৬

চাঁদপুর: শাহরাস্তিতে দাখিল পরীক্ষায় ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় স্মার্টফোন ব্যবহার করে বাইরে থেকে পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের অপরাধে এক মাদরাসা অধ্যক্ষকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক হলেন রাজাপুরা আল আমিন ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. ছায়েদুল ইসলাম (৫৩)।

রোববার (৩ মার্চ) শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালে ওই শিক্ষককে কারাদণ্ড দেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসির আরাফাত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শাহরাস্তি উপজেলার পৌর এলাকায় অবস্থিত শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সরকারি গাড়ি দূরে রেখে হেঁটে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এসময় কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থানরত অফিস সহকারী, আয়া এবং কিছু শিক্ষক ছোটাছুটি শুরু করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেন্দ্রে অনিয়ম ও নকলের বিষয়টি ধারণা করতে পেরে শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করেন। পরে শ্রেণিকক্ষের বাইরে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের বাউন্ডারি সীমানার মধ্যে অসংখ্য হাতে লিখে সমাধান করা প্রশ্নের উত্তর নকল পাওয়া যায়।

একপর্যায়ে হাতে লিখে সমাধান করা ফটোকপি করা নকল দেখে কেন্দ্রে উপস্থিত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজাপুরা আল আমিন ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. ছায়েদুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রিন্টারে ২৫-৩০টি কপি হাতে লেখা নকলের প্রিন্ট বের করেছেন।

ওই শিক্ষককে পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি একপর্যায়ে জানান, বাসায় তিনি মোবাইল ফোন রেখে এসেছেন। তবে তার নম্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল দিলে পাশের ব্যাগের মধ্যে মোবাইল ফোনটি বেজে ওঠে। পরে তার মোবাইল ফোন তল্লাশি করে হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যে শ্রেণিকক্ষের বাইরে উদ্ধার করা হাতে লেখা নকলের হুবহু ছবি পাওয়া যায়।

দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক জানান, তার এক ছাত্র এগুলো সমাধান করে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছে। পরে তিনি কেন্দ্রের প্রিন্টারে প্রিন্ট করে রুমে রুমে নকল সরবরাহ করেছেন।

শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘ওই শিক্ষক দোষ স্বীকার করায় পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৯(ক) ধারা মোতাবেক দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায় আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।’

সারাবাংলা/এমও


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর