রোজার জন্য এসেছে ১৩ হাজার কোটি টাকার ভোগ্যপণ্য
৩ মার্চ ২০২৪ ২০:৩৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো : রমজানের চাহিদা মেটাতে গত পাঁচ মাসে দেশে ১৩ হাজার ৫৭ কোটি টাকার ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। এসব ভোগ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে- চিনি, খেজুর, ভোজ্যতেল, ডাল, ছোলা ও পেঁয়াজ।
২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ মাসের এ আমদানি তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস। কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানি করা অধিকাংশ পণ্যই ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে খালাস হয়েছে। কিছু পণ্য এখনও খালাসের অপেক্ষায় জাহাজে আছে। রেকর্ড পরিমাণ আমদানির কারণে এবার বাজারে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ সংকট হবে না বলে মনে করছেন তারা।
কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত পাঁচ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছে, যেটি জানুয়ারির ২০ তারিখ পর্যন্ত ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭০৭ দশমিক ১৭ মেট্রিক টন।
পাঁচ মাসে ৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৬ দশমিক ২০৭ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেল ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯৩ দশমিক ৬১ মেট্রিক টন এবং সয়াবিন তেল ৭৬ দশমিক ৩৭১ মেট্রিক টন। এ ছাড়া, অপরিশোধিত তেল আমদানি হয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৬ দশমিক মেট্রিক টন।
এই সময়ের মধ্যে মসুর ডাল আমদানি হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৮১ মেট্রিক টন। এ ছাড়া, ৯৭ হাজার ১০৭ দশমিক ৯০২ টন ছোলা আমদানি হয়েছে। বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে গত পাঁচ মাসে ৩ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৬৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, গত পাঁচ মাসে চিনি আমদানিতে ১১৬৬ কোটি ৬২ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা, ভোজ্যতেলে ৯ হাজার ১৮২ কোটি ৬০ লাখ ১৪ হাজার ৪২৭ টাকা, পেঁয়াজে ১৮৪ কোটি ৫৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪ টাকা, ছোলায় ৭২০ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫ টাকা এবং মসুর ডালে ১২২৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার কাজী ইরাজ ইশতিয়াক সারাবাংলাকে জানান, ছোলা, চিনি ও ভোজ্যতেলের আমদানি বেড়েছে। এবার ১৫ হাজার টন ছোলা, এক লাখ টন ভোজ্যতেল ও ৫২ হাজার টন চিনি বেশি আমদানি হয়েছে। এতে বাজারে এসব ভোগ্যপণ্যর তেমন সংকট থাকবে না বলে আশা করা যাচ্ছে।
এদিকে, দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৯০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে শুধু রমজান মাসেই ৪০ হাজার টন খেজুর প্রয়োজন হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ মাসে ৩৬ হাজার ৩৫২ দশমিক ৫৭৭ টন খেজুর আমদানি হয়েছে। এতে ৭৪২ কোটি ৫০ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪০ টাকা ব্যয় হয়েছে।
২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৮৮ হাজার ৫৬৭ দশমিক ৬৪ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি হয়েছিল। আর ২০২৩ সালে আমদানি হয় ৬৮ হাজার ৫১৫ দশমিক ২৯ মেট্রিক টন খেজুর।
উপ কাস্টমস কমিশনার কাজী ইরাজ ইশতিয়াক সারাবাংলাকে বলেন, ‘খেজুরের আমদানি কিছুটা কমেছে। তবে যেগুলো আমদানি করা হেয়ছে, সেগুলো দ্রুত খালাস করা হচ্ছে, যাতে বাজারে কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে।’
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম