Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিসি সম্মেলনে ২২ এজেন্ডা নিয়ে বসছে সড়ক মন্ত্রণালয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ মার্চ ২০২৪ ২২:৪১

ঢাকা: দেশের সড়কপথে বিশৃঙ্খলা বা নৈরাজ্য বন্ধে সরকারের যেমন প্রতিশ্রুতির শেষ নেই, তেমনি উদ্যোগও কম নেওয়া হয়নি। এতকিছুর পরেও সড়কে মৃত্যু থামেনি, অভিযোগ রয়েছে চাঁদাবাজিরও। এসব দূর করে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসকদের দিক নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে সরকার।

সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে চলা জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় সবচেয়ে বেশি এজেন্ডা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর পাশাপাশি বিশৃঙ্খলা দূর করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি নির্দেশনা থাকবে আলোচনায়।

বিজ্ঞাপন

পূর্ব নির্ধারিত আলোচ্যসূচি অনুযায়ী, সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনায় থাকবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। ২টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার আলোচনায় সড়ক, সেতু বিভাগ ছাড়াও আলোচনায় স্থান পাবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নানা ইস্যু।

এর আগে, শনিবার (২ মার্চ) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, এবার চার দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে সড়ক মহাসড়ক বিভাগ। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাকদের নির্দেশনা থাকবে।

তিনি আরও বলেছিলেন, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর ১১ জানুয়ারি সরকার নতুন দায়িত্ব নিয়েছে। এরপর থেকে নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলন অন্যরকম গুরুত্ব বহন করে।

তিনি আরও বলেছিলেন, নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে বলা হয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থায় সরকারের সাফল্যের শীর্ষে রয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ। জাতীয় মর্যাদা ও গৌরবের প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতু গত ২৬ জুন ২০২২ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে। বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াই ও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হয় সর্ববৃহৎ এই প্রকল্প। এটি একদিকে যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস ও দৃঢ়তার প্রতীক।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মাণ আরেকটি বড় সাফল্য। এরইমধ্যে টানেলের নির্মাণকাজ সম্পন্ন শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে খুলে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগরী এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে পরিবেশবান্ধব ৬ সেকশন ও ১০৫ স্টেশনবিশিষ্ট প্রায় ১৩০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল সেকশন চালু করা হয়েছে। কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। প্রকল্পটি ২০৩০ সালের মধ্যে সমাপ্ত হবে।

বিশ্বমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য নেওয়া হয়েছে আরও বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, ক্রস-বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট উল্লেখযোগ্য। আরো বলা হয়, নিরবচ্ছিন্ন মহাসড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিগত দেড় দশকে ৫ হাজার ৬৫৯টি সেতু ও ৬ হাজার ১২২টি কালভার্ট নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।

রেলওয়ে নিয়ে বলা হয়েছে, রেলওয়ে বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রেলওয়ের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রেলপথ বিভাগকে গত ৪ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখে একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ে উন্নীত করা হয়েছে। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য অধিক অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ দ্রুত ও সহজীকরণের লক্ষ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে নির্মিত রেলসংযোগ উদ্বোধন করা হয়েছে।

দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার সঙ্গে ঢাকা থেকে সরাসরি রেলসংযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ এবং সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের নিমিত্ত রেলওয়ের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন রুটে মোট ১৪২টি নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে এবং ৪৪টি ট্রেনের রুট বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আকাশ পথের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, বিমান বাংলাদেশ ৪টি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, ২টি ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার ও ৩টি ড্যাশ উড়োজাহাজসহ মোট ১২টি নতুন উড়োজাহাজ (২০১১-২০১৯) ক্রয় করে বিমানবহর নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।

এদিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অধিবেশনের শুরুতেই আলোচনা থাকছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এরপর ধর্ম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অর্থ, খাদ্য, কৃষি শিল্প, বাণিজ্য, নৌ, পানি, দুর্যোগ, নৌ পরিবহন, পানি সম্পদ, বস্ত্র ও পাট, শ্রম ও কর্মসংস্থান ও দুদকের সঙ্গে সেশন।

সারাবাংলা/জেআর/একে

টপ নিউজ ডিসি সম্মেলন সড়ক মন্ত্রণালয়

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

সম্পর্কিত খবর