জেলা প্রশাসক সম্মেলন: পর্যটন শিল্পের বিকাশ, আয়কর বাড়ানোর তাগিদ
৪ মার্চ ২০২৪ ১৩:৪৭
ঢাকা: জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অর্থ, বাণিজ্য শিল্প, শিক্ষা, খাদ্য, কৃষি, বিমান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম অধিবেশনে। বৈঠকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পর্যটনের বিকাশ ঘটানোর ওপরে জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় সুবিধাভোগীরা যাতে সরকারি সহায়তা পান এবং আয়কর আদায়ের ওপরে জোর দেওয়া হয় জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আলোচনায়।
সোমবার (৪ মার্চ) সম্মেলনের শুরুতেই বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার আলোকে পর্যটন শিল্প বিকাশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি সারা দেশে পর্যটন শিল্প বিকাশে প্রতিটি জেলায় একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও একজন সহকারী কমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পর্যটন সম্ভাবনাময় ১৩টি জেলাকে চিহ্নিত করে কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
এরপর ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেবোত্তর আইন দ্রুত প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে মর্মে আলোচনা হয়েছে। মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের ইমাম, মুয়াজ্জিন, পুরোহিত ও অন্যান্যদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সম্মানী দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে দেশের সব ইমাম ও পুরোহিতকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আলোচনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রকাশনা পাঠের সংস্কৃতি গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
দেশের বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরে একটি ‘মনীষী জাদুঘর’ তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিটি জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য সমন্বিতভাবে পরিকল্পনা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় ২০২৬ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণে Smooth Transition Strategy প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলাপ্রশাসকগণকে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
অর্থ বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা হয়। সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্যোগকে অধিকতর জনমুখী ও জনপ্রিয়করণের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও জেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিভিন্ন এলাকার আবাসনের ভাড়া নির্ধারণের নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের আলোচনায় আইএমইডি’র EPMIS (Electronic Project Management Information System) সফটওয়ারে প্রকল্প পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসকদের সরাসরি মতামত প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
National Evaluation Policy প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আলোচনায় ভাসমান জনসংখ্যার ডাটাবেইজ তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।আরো আলোচনা হয়েছে উপজেলা পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনিসহ দরিদ্র ও অতিদরিদ্রের জন্য গৃহীত প্রকল্পের উপকারভোগী নির্বাচনের সুবিধার্থে জরিপভিত্তিক একটি অনলাইন ডাটাবেজ তৈরিকরণ এবং অনলাইন উপকারভোগী নির্বাচনের ব্যবস্থাকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর পরিকল্পনা বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় কোনো জেলায় বাস্তবায়িত যেকোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়নের পূর্বে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভার মতামত গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের আলোচনায় আয়কর পরিষেবা বৃদ্ধির জন্য এক বা একাধিক উপজেলা নিয়ে সার্কেল গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নকল বা জাল ব্যান্ডরো/স্ট্যাম্প ব্যবহার রোধকল্পে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ২৬২ ধারা মোবাইল কোর্টের তফসিলভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/এমও