২ দিনেও নেভেনি আগুন, ছড়ানোর শঙ্কা নেই বলছে ফায়ার সার্ভিস
৬ মার্চ ২০২৪ ১৫:১০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রায়ই দুইদিন পেরিয়ে গেলেও দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চিনি পরিশোধন কারখানায় লাগা আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন পুরোপুরি নেভানো না গেলেও ছড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।
বুধবার (৬ মার্চ) সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। টানা কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের অনেক কর্মীই ক্লান্ত হয়ে কারখানার বাইরে একপাশে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন। ভেতর থেকে আগুনে পুড়ে গলে যাওয়া অপরিশোধিত চিনির তরল ট্রাকে করে কারখানা থেকে ১০০ গজ দূরের একটি মাঠে ফেলে বালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারখানার গুদামের ভেতরে পুড়ে গলে যাওয়া অপরিশোধিত চিনি না সরালে আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হবে না। এছাড়া পুড়ে গলে যাওয়া অপরিশোধিত চিনির গরম তরলের মধ্যে কাজ করতেও কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। আগুন নেভাতে প্রায় ৪৭ ঘণ্টা পালা বদল করে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা, যার ফলে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুণ পাশা সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভেতরে এখনো আগুন আছে। ওখানে সব দাহ্য পদার্থ। যতক্ষণ না ওগুলো সব সরানো যাবে ততক্ষণ আগুন জ্বলতে থাকবে। আমরা চেষ্টা করছি অন্য জায়গায় যাতে আগুন ছড়িয়ে যেতে না পারে। চারপাশ থেকেই আমরা পানি ছিটাচ্ছি। ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করছে। টানা কাজ করে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। গুদামের ভেতরে আগুনে পুড়ে গলে যাওয়া অপরিশোধিত চিনির গরম তরলে পা সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। সেফটি বুট পড়লেও পায়ে গরম লাগছে।’
এদিকে বুধবার সকাল থেকে খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সংবাদকর্মীদের কারখানায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল চারটায় এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সঙ্গে যুক্ত হন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সদস্যরাও। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাত ১১টার দিকে, আগুন লাগার সাত ঘণ্টা পর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর প্রায় ৪৭ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন পুরোপুরি নেভেনি।
সারাবাংলা/আইসি/এনএস