Wednesday 09 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোরাল পোনা উৎপাদনে সাফল্য, দেখে গেলেন ১০ দেশের বিজ্ঞানীরা


৬ মার্চ ২০২৪ ১৯:০০

কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উৎপাদিত কোরাল মাছের পোনা। ছবি: সারাবাংলা

কক্সবাজার: কোরাল মাছ। ভেটকি নামেও পরিচিত। সুস্বাদু এই সামুদ্রিক মাছ চাহিদায় থাকে সবসময়ই শীর্ষে। এতদিন সমুদ্র উপকূল থেকে এই মাছের পোনা সংগ্রহ করে চাষ করা হতো চিংড়ি ঘেরে। কিন্তু ঘেরের চিংড়িসহ অন্য প্রজাতির মাছ ও মাছের পোনা খেয়ে ফেলত সেই কোরাল মাছ। তাতে বরং লাভের বদলে লোকসানই হতো।

এ প্রেক্ষাপটে হ্যাচারিতে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে কোরাল মাছের পোনা উৎপাদনে গবেষণা চলছিল দীর্ঘ দিন থেকেই। এবারে সেই গবেষণায় এসেছে সাফল্য। দেশে প্রথমবারের মতো হ্যাচারিতে কোরাল মাছের পোনা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন কক্সবাজারের গ্রিনহাউজ মেরিকালচার হ্যাচারির মৎস্য গবেষকরা। ১০ দেশের মৎস্যবিজ্ঞানীরা আজ বুধবার (৬ মার্চ) সেই হ্যাচারি পরিদর্শন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদফতরের উদ্যোগে বুধবার সকাল ১১টার দিকে আশিয়ানভুক্ত ১০ দেশের ২৫ জন মৎস্যবিজ্ঞানী বাংলাদেশের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র সফল কৃত্রিম উপায়ে কোরাল মাছ প্রজনন হ্যাচারি গ্রিনহাউজ মেরিকালচার পরিদর্শন করেন। কক্সবাজার শহরের কলাতলী মেরিন ড্রাইভ সড়কে অবস্থিত হ্যাচারির বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণ করেন তারা।

গ্রিনহাউজ মেরিকালচার হ্যাচারির স্বত্বাধিকারী তারিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, দেশে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম উপায়ে কোরাল মাছের পোনা উৎপাদনে তারা সক্ষম হয়েছেন। গত বছরের নভেম্বরে প্রথম সাফল্যের দেখা পান।

কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে কোরাল মাছের পোনা উৎপাদনের প্রক্রিয়া দেখতে কক্সবাজারে আসিয়ানভুক্ত দেশের বিজ্ঞানীরা। ছবি: সারাবাংলা

তারিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের হ্যাচারিতে অর্ধশত মা কোরাল মাছ রয়েছে। নভেম্বর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত হ্যাচারিতে দুই লাভের বেশি পোনা উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ পোনা বিক্রিও হয়েছে। এই মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সরকারসহ বিভিন্ন সংস্থা সহযোগিতা করলে এই মাছ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা যাবে।

বিজ্ঞাপন

গ্রিনহাউজ মেরিকালচার হ্যাচারির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম জানান, কোরালের মাদার ফিশ বা মা মাছগুলো সমুদ্র থেকে সংগ্রহ করা হয়। এরপর বৈজ্ঞানিক উপায়ে ডিম দেওয়ার উপযোগী করা হয়। এর মধ্যে ব্যাপক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে মাছের চাহিদা মেটাতে এটি একটি সম্ভাবনার জায়গা। এই মাছ পোনা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উৎপাদন করা যাবে।

পরিদর্শন দলের দলনেতা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক শাখা অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. রইস হাসান সরোয়ার বলেন, এটি ব্লু ইকোনমিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। গ্রিনহাউজ মেরিকালচারের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রতিষ্ঠানটিকে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে সম্প্রসারণের জন্যও গ্রিনহাউজ মেরিকালচারকে সব ধরনের সহায়তা দেবে সরকার।

বিজ্ঞানীদের দলের পরিদর্শনের সময় গ্রিনহাউজ মেরিকালচার হ্যাচারির দেশীয় কনসালট্যান্ট মো. মাহবুব আলম, মৎস্য অধিদফতরের আশিয়ান-বাংলাদেশ সহযোগিতা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ইফতেখারুল আলম, দেশি-বিদেশি টেকনিশিয়ান এবং হ্যাচারির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/টিআর

আসিয়ান কক্সবাজার কৃত্রিম প্রজনন কোরাল মাছ কোরাল মাছের পোনা টপ নিউজ মৎস্যবিজ্ঞানী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর