ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
৭ মার্চ ২০২৪ ১৩:৩৯
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। সত্যকে কখনও মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। আজকে সেটাই প্রমাণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
৭ই মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জয় বাংলা স্লোগান আজকে আমাদের জাতীয় স্লোগান। এই ভাষণ শুধু আমাদের বাঙালির বা আমাদের না; এটা ইতিহাসে যে নেতারা ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছে সেই ভাষণগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসাবেই স্থান পেয়েছে।
বাংলাদেশেকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলা হিসাবে গড়ে তোলারও অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে কেন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল? যখন বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর অর্থনীতি মুক্তির বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই তাকে হত্যা করা হয় বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এতো রক্ত দিয়ে কি পরিবর্তন এনেছিল? বাংলাদেশ কি এগোতে পেরেছিল? এক কদমও এগোতে পারেনি। বাংলাদেশ ছিল একেবারে স্থবির। আর্থ সামাজিক কোনো উন্নতি দেশের মানুষের হয়নি। ক্ষমতা দখলকারীদের মুষ্টিমেয় তারা ধনশালী সম্পদশালী অর্থশালী হয়েছিল বা তাদের আশপাশে কিছু। একটা এলিট শ্রেণী তৈরি করতে পেরেছিল কিন্তু দেশের মানুষ বঞ্চিত থেকে গিয়েছিল। তাদের ধারণা ছিল যে জাতির পিতার রক্তের আর কেউ কোনদিন আসতে পারবে না। জাতির পিতার নামটা মুছে ফেলা হয়েছিল। কোনো ছবি দেখানো যেত না। জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ, যেই স্লোগান দিয়ে লাখো শহীদ রক্ত দিয়েছে।
৭ই মার্চ জাতির পিতার দেওয়া ভাষণের মর্মার্থ বুঝতে পাকিস্তানিদের সময় চলে গিয়েছিল বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই ভাষণের ব্যাখ্যা খুঁজতে খুঁজতেই তাদের সময় গেছে। উনি (বঙ্গবন্ধু) কি বলে গেলেন আর কি হয়ে গেল আর বাংলাদেশের মানুষ অস্ত্র নিয়ে নেমে পরল যুদ্ধ করতে! এটাই ছিল তাদের বক্তব্য। একজন নেতার জন্য একটা ভাষণ শুধু মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেনি গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে। একটা যুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় কথা বলেও মনে করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খানসহ অন্যান্যরা।
সারাবাংলা/এনআর/ইআ