Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেকৃবি গ্রিনহাউজ, ৮ মাসের কাজ শেষ হয়নি ২৪ মাসেও

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট
৭ মার্চ ২০২৪ ১৬:৫০

ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে গ্রিনহাউজ নির্মাণ কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবার কথা থাকলেও এখন অবধি কাজ শেষ করতে পারেনি প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও চাহিদাপত্রের মান অনুযায়ী গ্রিনহাউজ নির্মাণ হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ এর ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রিনহাউজ তৈরির জন্য ১২ কোটি ১০ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা দাখিলকৃত দরে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, যেখানে বেশ কিছু যন্ত্রাংশই ছিল অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত। গ্রিনহাউজ প্রকল্পের সময়সীমা ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস অবধি। তবে দুই দফায় সময়য বাড়িয়েও কাজ শেষ হয়নি।

২০২৩ এর জুন অবধি কাজ শেষ না হওয়াই টেন্ডার এ থাকা অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত যন্ত্রপাতি বাদ দেওয়া হয় রিভাইসড টেন্ডার এর সময়। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত যায় এবং প্রকল্পের দর ১০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা নির্ধারিত হয়।

অভিযোগ পাওয়া যায়, কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই গ্রিনহাউজ তৈরিতে। গ্রিনহাউজ নির্মাণে দায়িত্বরত প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন। তবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী গ্রিনহাউজ নির্মাণ করে দেবেন বলেও জানান তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রিনহাউজ নির্মাণে পলিকার্বনেটেড দেয়ালে প্রাথমিক ভাবে নিম্নমানের এক্সিস্টর ফ্যান এবং লাইট লাগানো হয়। পরবর্তিতে টেকনিক্যাল কমিটির বিরোধিতায় তা পরিবর্তন করা হয়। এছাড়াও গ্রিনহাউজ এর পলিকার্বনেটেড দেয়াল এ ৮ মিমি এর শিট ব্যাবহার এর কথা থাকলেও তা অপেক্ষা পাতলা শিট ব্যবহার করা হয়েছে। এখনও গ্রিনহাউজ এর কার্বন—ডাই—অক্সাইড প্রোডাকশন এবং কন্ট্রোল ইউনিট ইন্সটল সম্পন্ন হয়নি। এছাড়াও সম্পুর্ণ অটোমেশন সিস্টেম সম্পূর্ণ হয়নি।

গ্রিনহাউজ নির্মাণ বিষয়ক টেকনিক্যাল কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘গ্রিনহাউজটি মানসম্মত হচ্ছে না। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কে আরও ত্বরান্বিত করতে পারত। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একটু সচেতন হওয়া উচিত ছিল। কোনো স্ট্যান্ডার্ড পূরণ করতে পারেনি তারা।’

কার্যাদেশ পাওয়ার বিষয় জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়, সর্বনিম্ন ও রিসপন্সিভ দরপত্র দাখিলের জন্য ৫ টি কোম্পানির ভেতরে কর্মরত প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দেওয়া হয়েছে।

নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুল হক কাজল বলেন, ‘করোনা পরবর্তি সময় ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যন্ত্রপাতি আসায় বিলম্ব হয়েছে। তবে এখন কোনো শিক্ষক চাইলে আমরা গ্রিনহাউজ ব্যবহারের ব্যবস্থা করে দিতে পারব। আশা করছি আগামী এক মাসের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের থেকে গ্রিনহাউজ সম্পূর্ণ বুঝে পাব।’

সারাবাংলা/একে

শেকৃবি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর