এস আলমকে নদীতে বর্জ্য না ফেলার নির্দেশ দিয়েই ‘প্রশাসন খালাস’
৭ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো : এস আলম গ্রুপের চিনি পরিশোধন কারখানার আগুন যখন প্রায় নিভে এসেছে, তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশনা এসেছে, গলিত চিনির রাসায়নিক বর্জ্য যেন আর কর্ণফুলী নদীতে না পড়ে। অথচ গত দুইদিন ধরে বর্জ্যের ‘বিষক্রিয়ায়’ নদীতে নির্বিচারে মাছসহ জলজ প্রাণী মরে ভেসে উঠছে। জেলা মৎস্য অফিস বলছে, এখন পর্যন্ত তাদের কাছে ১১ প্রজাতির মাছ মৃত ও অর্ধমৃত অবস্থায় পাওয়ার তথ্য আছে।
এদিকে চিনিকল থেকে কর্ণফুলী নদীতে নির্গত বর্জ্যে শুধু মাছসহ জলজ প্রাণী নয়, প্রায় ৬০০ প্রজাতির জলজ-স্থলজ উদ্ভিদও হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। সকালে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ারও প্রথমবারের মতো ঘটনাস্থলে যান। তারা এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষের প্রতি গলিত চিনির রাসায়নিক তরল নদীতে না ফেলার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানালেন।
সরকারি সংস্থার উর্ধ্বতনরা যখন আগুনকবলিত কারখানা পরিদর্শন করছিলেন, তখনও কর্ণফুলী নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ভেসে আসছিল মরা এবং মৃতপ্রায় মাছ। দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার ভোর থেকেও সেই মাছ ধরার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে ভিড় জমান। একেকজনকে চার-পাঁচ কেজি করে মাছ সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। দেদারসে এসব মাছ কেনা-বেচা চললেও এবং সেগুলো খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা থাকলেও যথারীতি নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান হাকিম জানালেন, বৃহস্পতিবার আগেরদিনের চেয়েও বেশি মাছ ভেসে আসছে। প্রথমদিনে শুধু ট্যাংরা এবং গলদা চিংড়ি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এদিন ছোট আইড়, বেলে, ট্যাংরা, গলদা চিংড়ি, পোয়া, রিটা মাছ মিলছে।
লোকমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি গতকাল (বুধবার) ছয় কেজির মতো ট্যাংরা মাছ পেয়েছিলাম। কেজি ৩০০ টাকা করে বিক্রি করেছি। আজ আরও বেশি মাছ পেয়েছি। আজ একেবারে নদীর তলায় যেসব মাছ থাকে, সেগুলোও মরে ভেসে উঠছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা সনেট বড়ুয়া জানালেন, বুধবার সংগ্রহ করা মাছ বাড়িতে নিয়ে রান্নার পর ফেলে দিতে হয়। সেগুলো রান্নার সময় ভেঙে যাওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়, সেজন্য তারা সেগুলো ফেলে দেন।
‘গতকাল (বুধবার) ভাসা জালেই আমি পাঁচ কেজি গুইলদ্যা (ট্যাংরা) মাছ ধরেছি। কিন্তু সেগুলো যখন ঘরে নিয়ে চুলায় কড়াইয়ে তেলে দেওয়া হল, দেখলাম ভেঙে টুকরো-টুকরো হয়ে যাচ্ছে। রান্না করেও ফেলে দিতে হয়েছে। তবে আমার সঙ্গে যারা মাছ ধরেছে, তাদের অনেকে খেয়েছে। আমরা খাইনি আর কী !’
বাবুল নামে একজন প্রায় পাঁচ কেজি মাছ সংগ্রহ করেন। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘গতকালও পাঁচ কেজির মতো খেয়েছিলাম। অনেকে বলছে, সেগুলো খেলে নাকি ডায়রিয়া হবে। সেজন্য খাইনি। বাড়িতে নেওয়ার আগেই বিক্রি হয়ে গেছে।’
ঘটনাস্থলে যাওয়া চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আলীউর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘একটা জলজ প্রাণী আছে, চট্টগ্রামের ভাষায় আমরা এটিকে কুইচ্যা কলি, এটা মাটির গভীরে থাকে। আজ (বৃহস্পতিবার) এসে দেখলাম, কুইচ্যা পর্যন্ত মৃত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে। মাটির নিচে থাকে কাঁকড়া, সেগুলো মরে পড়ে আছে। আইড় মাছ সাধারণত নদীর গভীরে থাকে, সেগুলো মারা যাচ্ছে। তাহলে বোঝা যায়, নদীর দূষণটা কী ভয়াবহ হয়েছে।’
পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার সারাবাংলাকে বলেন, ‘অগ্নিনির্বাপণের পানিটা নদীতে গিয়ে সরাসরি পড়ছে। এর সঙ্গে র-সুগার মিক্স আছে। সেটা আবার আগুনে গলে লাভায় পরিণত হয়েছে। সেই পানিটা নদীতে পড়ার কারণে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। অক্সিজেনের অভাবে জলজ প্রাণী ভেসে উঠছে।’
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ সারাবাংলাকে জানান, গত দুইদিনে তারা কর্ণফুলীতে ১১ প্রজাতির মাছ মৃত অথবা অর্ধমৃত অবস্থায় ভেসে আসতে দেখেছেন। এগুলো হলো- চিংড়ি, টেংরা, লাল চেঁউয়া, কুকুরজিভ, ছটা বেলে, লেজেপোয়া, বস্তাপোয়া, দেশি বেলে, দাঁতিনা কোরালের বাচ্চা, টেকচান্দা এবং কাঁকড়া।
কর্ণফুলীর বাসিন্দা গাঙ্গেয় ডলফিনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত গাঙ্গেয় ডলফিনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য নেই। এটা অনেক চালাক। নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে নিজেকে রক্ষায় সক্ষম এ জলজ প্রাণীটা। আশা করছি, গাঙ্গেয় ডলফিনের কোনো ক্ষতি হবে না।’
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনাদের (কারখানা কর্তৃপক্ষ) প্রতি আমরা একটা নির্দেশনা দিয়েছি, আমর মানে পরিবেশ অধিদফতর, কলকারখানা পরিবেশ অধিদফতর, ফায়ার, বিএসটিআইসহ আরও সংস্থা মিলে। নির্দেশনাটা হচ্ছে, এখানে কারখানা থেকে চিনির যে লাভাটা নদীতে গিয়ে পড়ছে, সেটা যেন আর না পড়ে। এটা আমরা আর কোনোভাবে অ্যালাউ করব না। কারখানার পাশেই প্রচুর জায়গা আছে। এখানে গভীর গর্ত করে বর্জ্যগুলো স্টোর করে রাখা যাবে।’
পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে ডিসি স্যার এস আলম কারখানাকে বর্জ্যের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।’
হুমকির মুখে নদীতীরের উদ্ভিদের অস্তিত্ব
২০২২ সালে বেসরকারি উন্নয়ন ও গবেষণা সংস্থা ‘ইকো’ কর্ণফুলী নদীতে এবং এর তীরে প্রায় ৬০০ প্রজাতির জলজ ও স্থলজ উদ্ভিদ শনাক্ত করে। এর মধ্যে ৫২৮ প্রজাতির সঙ্গে ৮১ প্রজাতির বিপন্ন উদ্ভিদও সংস্থাটি শনাক্ত করে। সেই গবেষণা টিমে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল।
চিনিকলের আগুনে সাম্প্রতিক ভয়াবহ দূষণের পর বৃহস্পতিবার ওমর ফারুক রাসেলের নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি টিম কর্ণফুলী নদীর দূষণ কবলিত এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নদীতীরে শনাক্ত করা ৬০০ প্রজাতির উদ্ভিদই হুমকির মুখে পড়বে।
প্রাণ-প্রকৃতি গবেষক ড. ওমর ফারুক রাসেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘তপ্ত চিনির রাসায়নিক মিশ্রিত বর্জ্যের কারণে স্থলজ উদ্ভিদের শিকড় থেকে পানি বের হয়ে যাবে। পানির স্বল্পতার কারণে উদ্ভিদ মারা যাবে। অক্সিজেনের অভাবে জলজ উদ্ভিদ মারা যাবে। এর প্রভাব অলরেডি পড়তে শুরু করেছে। এ আগুন পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে গেল।’
দূষণের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর পানির স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট হয়ে গেছে। পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেছে। হালদা নদীর জন্যও একটা ঝুঁকি তৈরি হয়ে গেল। কারণ কর্ণফুলীর সঙ্গে হালদার একটি মোহনা আছে। জোয়ারের পানির সঙ্গে যদি কর্ণফুলীর দূষিত পানি হালদায় গিয়ে পড়ে, তাহলে সেখানে প্রজনন সক্ষম কার্প জাতীয় মাছ মারা যাবার আশঙ্কা আছে।’
এ ছাড়া তপ্ত রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়ার কারণে আগুন কবলিত কারখানার আশপাশের উদ্ভিদ অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মারা যাবে বলে জানান এ গবেষক।
হালদা নদীর প্রজনন সক্ষম মাছের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ চন্দ্র সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা শুধুমাত্র কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু থেকে কালুরঘাট সেতু পর্যন্ত চার-পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় মাছ মরে কিংবা অর্ধমৃত অবস্থায় ভেসে উঠতে দেখেছি। এর বাইরে এখনও প্রভাব পড়েনি। তবে কর্ণফুলী যেহেতু জোয়ার-ভাটার নদী, হালদায় প্রভাব পড়তেও পারে, আবার না-ও পড়তে পারে।’
এস আলমের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার দাবি
কর্ণফুলী নদীর পানিদূষণ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের প্রতিবাদে আগুন কবলিত কারখানার কাছে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় অবস্থান ধর্মঘট কমসূচি পালন করেছে ছয়টি সংগঠন। এগুলো হলো- চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলা, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, আর কে এস ফাউন্ডেশন এবং চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আলীউর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এস আলমের চিনি কারখানার আগুনের কারণে কর্ণফুলী নদী স্মরণকালের ভয়াবহ দূষণের শিকার হয়েছে। জলজ প্রাণী, উদ্ভিদসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়েছে। মরা মাছ ভেসে আসছে। এমন পরিস্থিতি স্মরণকালে কর্ণফুলী নদীতে আর হয়নি।’
‘এর জন্য এস আলম কর্তৃপক্ষ দায়ী, একইসঙ্গে পরিবেশ অধিদফতরও দায়ী। পরিবেশ অধিদফতর যদি শুরু থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতো, তাহলে এত ক্ষতিকর বর্জ্য নদীতে যেতে পারতো না। দায়িত্বে অবহেলার জন্য আমরা পরিবেশ অধিদফতরের জবাবদিহিতা দাবি করেছি। রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানাই- এস আলম গ্রুপের কাছ থেকে এমনভাবে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে শিল্পকারখানাগুলো খাল, নদী, জলাশয় দূষণ করার সাহস না পায়,’ — বলেন আলীউর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধের গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মাহফুজর রহমানের সভাপতিত্বে এবং আলীউর রহমানের সঞ্চালনায় এস এম পেয়ার আলী, বেলার চট্টগ্রাম কার্যালয় সমন্বয়ক মনিরা পারভিন রুবা, বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিঞ্চন ভৌমিকসহ সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) মাত্র আমরা পরিদর্শন করেছি। সব বিষয় আমরা যাচাইবাছাই করছি। পরবর্তীতে প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
নিভে আসছে আগুন
গত সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর এলাকায় এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এক নম্বর গুদামে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সদস্যদের চেষ্টায় রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয়নি ফায়ার সার্ভিস।
সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার সকালে গুদামের ভেতর থেকে কিছু কিছু ধোঁয়া বের হওয়ার দৃশ্য দেখা গেলেও আগুন আর দেখা যাচ্ছে না। ফায়ার কর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন প্রায় নিভে এসেছে। তবে গুদামের ভেতরে ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মাঝে আগুন দেখা যাচ্ছে।
ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক সারাবাংলাকে বলেন, ’৮০ শতাংশ আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। ২০ শতাংশ আগুন নেভানো যায়নি। মাঝে মাঝে টিনের ফাঁকে কিংবা মালামালের ফাঁকে একটু করে দেখা যাচ্ছে। সেটা আমরা দ্রুত পানি ছিটিয়ে নিভিয়ে ফেলছি। রাতের মধ্যেই আগুন পুরোপুরি নেভানোর টার্গেট আছে আমাদের। এখন মূলত আগুন নেভানোর চেয়েও আমাদের ডাম্পিং কাজ বেশি করতে হচ্ছে।’
ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা জানালেন, আগুনে ওই গুদামের একটি দেয়াল দেবে গেছে। তবে সেটি যাতে ধসে না পরে, সেই ব্যবস্থা তারা নিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আগুন এখন প্রায় পুরোপুরি নির্বাপন হয়েছে বলা যায়। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। তারা কাজ শুরু করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বলতে পারব, কী কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।’
আগুনে কারখানার এক নম্বর গুদামে রাখা প্রায় এক লাখ মেট্রিকটন অপরিশোধিত চিনি পুড়ে গেছে বলে এস আলমের ভাষ্য। তবে জেলা প্রশাসক বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এস আলমের বক্তব্য অনুযায়ী, গুদামে রাখা র-সুগারের ওপরের লেয়ারটা অর্থাৎ মোট মালামালের ২০ শতাংশের মতো নষ্ট হয়েছে। বাকি মালামাল ঠিক আছে। আগুন পুরোপুরি নেভারে পর বিএসটিআইসহ সংশ্লিষট বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মতামতের ভিত্তিতে এটা বলা যাবে।’
ছবি : শ্যামল নন্দী, সারাবাংলা
সারাবাংলা/আরডি/একে