Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ন্যাটোর ৩২তম সদস্য হলো সুইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৮ মার্চ ২০২৪ ১৫:০৭

উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটোর ৩২তম সদস্য হয়েছে সুইডেন। দেশটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কয়েক দশকের নিরপেক্ষ অবস্থান ত্যাগ করে পশ্চিমা এই সামরিক জোটে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য হতে না দেওয়া দেশটিতে রুশ আক্রমণের অন্যতম একটি কারণ। কিন্তু ইউক্রেনে রুশ হামলার পর ইউরোপের কয়েকটি দেশ তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান পরিত্যাগ করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দিলো।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে সুইডেনের ন্যাটো স্বীকৃতির জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এটি একটি নজির যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আক্রমণ ন্যাটোকে বিভক্ত না করে ঐক্যবদ্ধ করেছে।’

বাইডেন বলেন, ‘পুতিন যখন ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে তার নৃশংস আগ্রাসন শুরু করেছিলেন, তখন তিনি ভেবেছিলেন, তিনি ইউরোপকে দুর্বল করতে এবং ন্যাটোকে বিভক্ত করতে পারবেন। কিন্তু এর পরিবর্তে, ২০২২ সালের মে মাসে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড—আমাদের দুই ঘনিষ্ঠ অংশীদার, দুটি অত্যন্ত দক্ষ সামরিক শক্তি—পূর্ণ ন্যাটো সদস্যপদের জন্য আবেদন করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ন্যাটো এখন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আগের চেয়ে গতিশীল। এখন ৩২টি দেশ নিয়ে শক্তিশালী।’

ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ জোটে সুইডেনের আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তির দিনটিকে একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সুইডেন এখন ন্যাটোর টেবিলে তার সঠিক জায়গা নেবে। ন্যাটো নীতি এবং সিদ্ধান্ত গঠনে সমান বক্তব্য দেবে।’

বিজ্ঞাপন

আগামী সোমবার ব্রাসেলসে সামরিক সংস্থার সদর দফতরের বাইরে সুইডিশ পতাকা উত্তোলন করা হবে। নর্ডিক দেশটি এখন ন্যাটো ট্রিটির অনুচ্ছেদ ৫ এর অধীনে প্রদত্ত সুরক্ষা উপভোগ করবে। সুইডেনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা আক্রান্ত হলে ন্যাটোর ৩১টি মিত্র এগিয়ে আসবে।

স্নায়ুযুদ্ধের প্রাক্বালে ন্যাটোর জন্ম। সংস্থাটির সদর দফতর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অবস্থিতি। ন্যাটো তৈরির উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিম ইউরোপিয়ান দেশগুলোকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের হুমকি থেকে রক্ষা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সমাজতন্ত্রের বিস্তার রোধ করা।

১৯৪৯ সালের এপ্রিলে—যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং আরও আটটি ইউরোপীয় দেশসহ ১২ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য একে অপরকে রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে উত্তর আটলান্টিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল।  পরে কয়েক দশক ধরে জোটটি বড় হতে থাকে।

স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর তিনটি প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রসহ পূর্ব ব্লকের এক ডজনেরও বেশি দেশ ন্যাটো জোটে যোগ দেয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলেও রাশিয়া এখনও ন্যাটোকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সাম্প্রতিক উত্তেজনার অন্যতম কারণ হলো—ন্যাটো জোটের সীমা আরও বাড়ানো হবে না—এমন নিশ্চয়তা চায় দেশটি।

সারাবাংলা/আইই

জো বাইডেন টপ নিউজ ন্যাটো সুইডেন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর