Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জোড়াতালি দিয়েই ৪ রুটে চালু হচ্ছে নতুন ট্রেন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:১৯

ঢাকা: চলতি বছর চার পথে নতুন ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এর মধ্যে জুনে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে নতুন করে আরও তিন জোড়া ট্রেন চালু করা হচ্ছে। একই সময়ে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যশোর-খুলনা রেলপথেও চালু করার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর ঢাকা-বুড়িমারি পথে ১২ মার্চে এবং এপ্রিলে খুলনা-মোংলা রেলপথে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করা হবে। তবে দ্রুতই নতুন লোকোমোটিভ ক্রয় করা সম্ভব না হওয়ায় পুরনোগুলো মেরামত করেই এসব ট্রেন চালু করা হবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৯ মার্চ) রেল ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে: পরিচালন ও উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালায়’ এসব তথ্য উঠে আসে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং রিপোর্টার ফর রেল অ্যান্ড রোড যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।

রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম জানান, এই চার রুটে ট্রেন চালু হলে এসব অঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব যেমন কমবে, তেমনি রেলের পরিধিও বাড়বে। একইসঙ্গে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবার মান উন্নয়নের ওপরেও গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

তিনি আরও জানান, ঢাকা-বুড়িমারি রেলপথ উদ্বোধন করা হচ্ছে। আগামী ১২ মার্চ ঢাকা থেকে বুড়িমারি পর্যন্ত ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের পরপরই ঢাকা-বুড়িমারি রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন পরিচালনা করা হবে। আর চলতি বছরের জুন মাসে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যশোর ও খুলনার সঙ্গে সরাসরি রেলযোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। এতে ঢাকা হতে খুলনার দূরত্ব ২১২ কিলোমিটার কমবে। এতে ভ্রমণ সময় প্রায় ৪ ঘণ্টা বাঁচবে।

এদিকে এ বছরের জুনের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে আরও ৩ জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করা হচ্ছে। পাশাপাশি ট্রেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কমিউটার ট্রেন চালু করা হবে বলে জানানো হয় কর্মশালায়। পাশাপাশি খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত প্রায় ৬৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আগামী ১৫ মার্চ নবনির্মিত এ রেলপথ বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করবে। এ রেলপথ নির্মাণের ফলে ঢাকা হতে মংলা পোর্টের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান জানিয়েছেন, এই পথে আগামী এপ্রিলে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এছাড়া ঢাকা থেকে নরসিংদী এবং ভাঙ্গা থেকে ঢাকা/টঙ্গী পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন শিগগিরই চালু করা হবে।

এতোগুলো রেলপথে নতুন ট্রেন চালুর সক্ষমতা কতটুকু রেলওয়ের— এমন প্রশ্নের জবাবে রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, ‘একেকটি লোকমোটিভের নির্মাণকালীন মেয়াদ থাকে ২০ বছর। সেটা রক্ষণাবেক্ষণ করে আরও দশ বছর অর্থাৎ ৩০ বছর করা হয়। আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করে তা ৪০ বছর ধরে ব্যবহারও করছি।’

তিনি বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু লোকোমোটিভ তো রয়েছেই। এর মধ্যে পুরনো কিছু লোকমোটিভ মেরামত করা হচ্ছে। আবার নির্বাচনের আগে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু লোকোমোটিভ সারানো হচ্ছে। এসব মিলিয়েই নতুন রেলপথে ট্রেন চলাচল চালু করা হবে।’

নতুন লোকোমোটিভ কম সময়ে ক্রয় করা কঠিন। দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই যা আছে সেগুলো দিয়েই ট্রেন চলাচল শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

টপ নিউজ বাংলাদেশ রেলওয়ে রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

সম্পর্কিত খবর