থাই সীমান্তে ঘাঁটি হারাল মিয়ানমার জান্তা, আরও ২টিতে চলছে লড়াই
১০ মার্চ ২০২৪ ১০:২১
থাইল্যান্ডের সীমান্তের কাছে মায়াওয়াদ্দি শহরে অবস্থিত মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর পদাতিক ব্যাটালিয়ন ৩৫৫-এর সদর দফতর দখলে করেছে বিদ্রোহীরা। একইসঙ্গে শহরের একটি পুলিশ স্টেশনও দখলে নিয়েছে তারা। শনিবার (৯ মার্চ) দেশটির কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) ও সহযোগী যোদ্ধারা এই সেনাঘাঁটি দখল করে। আরও দুই সেনাঘাঁটি দখলে নিতে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে বলে জানা গেছে। খবর দ্য ইরাবতি।
কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের সশস্ত্র শাখা কেএনএলএ এবং তার সহযোগীরা গত বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল থেকে থিঙ্গানিনাং গ্রামে আক্রমণ করছে। এরপর গতকাল শনিবার সেনাঘাঁটি ও থানার পতন হয়। থিঙ্গানিনাং দেশটির সীমান্তবর্তী শহর মায়াওয়াদ্দি এবং কাওকারেক’র মাঝে অবস্থিত। যা থাইল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ এশিয়া হাইওয়ের সঙ্গেও যুক্ত। ফলে এই সেনাঘাঁটি দখলে নিয়ে ওই এলাকায় কৌশলগতভাবে এগিয়ে গেল বিদ্রোহী যোদ্ধারা।
একজন বিদ্রোহী যোদ্ধার বরাত দিয়ে দ্য ইরাবতি জানায়, ওই অঞ্চলের আশপাশের জান্তা সেনাবাহিনীর ৩৫৬ এবং ৩৫৭ পদাতিক ব্যাটালিয়নও আক্রমণ চালিয়েছে বিদ্রোহীরা। এর জবাবে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করে জান্তা বাহিনী।
ওই যোদ্ধা বলেন, ‘আমরা এখন পদাতিক ব্যাটালিয়ন ৩৫৬ দখল করার জন্য যুদ্ধ করছি। বেশিরভাগ সৈন্য ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে গেছে এবং মাত্র কয়েকজন অবশিষ্ট আছে। ৩৫৫ ও ৩৫৬ পদাতিক ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা ৩৫৭ ব্যাটালিয়নের দিকে পালিয়ে গেছে।’
তিন দিন ধরে চলা এই যুদ্ধে গ্রামে অন্তত ১০০টি বোমা ফেলে জান্তা বাহিনী। এতে করে ৬০ বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই এলাকার এক বাসিন্দা দ্য ইরাবতিকে জানান, গত শুক্রবার জান্তা বাহিনী প্রায় ৫০টি বোমা হামলা করেছিল। বর্তমানে গ্রামটিতে মাত্র ৬০ জন বেসামরিক লোক রয়েছেন।
আরেক বাসিন্দা বলেন, নিজেদের সম্পত্তি দেখাশোনা করার জন্য কিছু লোক রেখে গ্রামের সবাই নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গেছে। থিঙ্গানিনাং’এ প্রায় তিন হাজার বেসামরিক পরিবার রয়েছে। যেখানে প্রায় সাত হাজার লোক বাস করত। তাদের প্রায় সবাই মায়াওয়াদ্দি এবং আশেপাশের গ্রামে পালিয়ে গেছেন।
গত শুক্রবার (৮ মার্চ) থিঙ্গান নি নাউং গ্রামের কাছাকাছি একটি হামলা চালায় জান্তা বাহিনী। এতে করে গ্রামের দুই বাসিন্দা নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন।
এই যুদ্ধে শনিবার বিকেল পর্যন্ত জান্তা সরকার বিরোধী বাহিনী পাঁচজন নিহত এবং দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে জান্তা বাহিনীর কেমন ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি বলে দ্য ইরাবতির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এনএস