সেই দুই শিশুর মা হাফসা আক্তারের জামিন স্থগিত
১০ মার্চ ২০২৪ ২২:১৬
ঢাকা: নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় হাফসা আক্তারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে রোববার (১০ মার্চ) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের চেম্বার আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
এর আগে, নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় গত ৬ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ হাফসা আক্তারকে জামিন দেন।
ওইদিন মায়ের জামিন আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্টে আসে তার দুই শিশু কন্যা।
এর আগে, গত ৪ মার্চ দাদির সঙ্গে হাইকোর্টে এসেছিল হাফসা আক্তারের দুই শিশু। তাদের একজনের বয়স চার বছর এবং অপরজনের বয়স সাত বছর।
মায়ের জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় আজও দাদির সঙ্গে আদালতে আসে এই দুই শিশু।
মামলায় জামিন হওয়ায় এবং অন্য মামলা না থাকায় হাফসার কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন হাফসা।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গত সোমবার ও আজ বুধবার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
গত সোমবারের শুনানিতে আদালত ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ-সংক্রান্ত ফুটেজ (সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ) রাষ্ট্রপক্ষকে দাখিল করতে বলেছিলেন। পাশাপাশি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে উপস্থিত হতে রাষ্ট্রপক্ষকে বলতে বলা হয়।
এর ধারাবাহিকতায় পেনড্রাইভে করে ফুটেজ নিয়ে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন আদালতে উপস্থিত হন।
আদালতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান ভিডিও ফুটেজ-সংবলিত পেনড্রাইভ ও আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি তুলে ধরেন।
আইনজীবীরা জানান, গত ২০ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করে পুলিশ। মামলায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিফল হন হাফসা। এরপর জামিন চেয়ে গত রোববার হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। এই মামলায় গ্রেফতারের পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন হাফসা।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে