চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাচ্ছে ভারত?
১১ মার্চ ২০২৪ ০৯:০৫
একটা সময় দুই দলের দ্বৈরথ নিয়মিতই উপভোগ করতেন সমর্থকরা। ভারত-পাকিস্তান প্রায় প্রতি বছরই দুই দেশের মাটিতে মুখোমুখি হতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। এখন শুধু আইসিসি টুর্নামেন্টেই দেখা হয় রোহিত-বাবরদের। তবে পাকিস্তানে হওয়া আইসিসির কোনও টুর্নামেন্টে খেলতে যায়নি ভারত। পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তাই ভারতের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত। এসবের মাঝে জানা গেল, পিসিবির অনুরোধে পাকিস্তান সফরে আসার সম্ভাবনা আছে ভারতের।
সবশেষ ২০০৮ সালে এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে গিয়েছিল ভারত। এরপর রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে বন্ধ হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, বন্ধ হয়েছে ভারতের পাকিস্তানে যাওয়াও। ভারত পাকিস্তানে না গেলেও পাকিস্তান কিন্তু ঠিকই এসেছে ভারতে। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান ভারতের মাটিতে খেলেছে।
পাকিস্তান ভারতে এলেও ভারত এই দীর্ঘ সময়ে পাকিস্তানে যায়নি। গত বছর পাকিস্তানে হতে যাওয়া এশিয়া কাপও বয়কটের ডাক দিয়েছিল ভারত। আর এতেই শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকার সাথে মিলে হাইব্রিড টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। ভারত তাদের সবগুলো ম্যাচ খেলে শ্রীলংকায়, ফাইনালও হয়েছে সেখানেই। পাকিস্তান-শ্রীলংকায় বারবার আসা যাওয়াতে বেশ ধকল গিয়েছে বাকি দেশের ক্রিকেটারদের উপর, সাথে অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পিসিবি। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও এমন কিছু করতে হয় কিনা, সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছে পাকিস্তান।
এমনটা যেন না হয়, সেজন্যই ভারতকে বিশেষভাবে অনুরোধ করবে পাকিস্তান। পিসিবির এক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পাকিস্তান সফর নিয়ে পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বিসিসিআই সভাপতি জয় শাহকে বিশেষভাবে অনুরোধ করবেন। আগামী সপ্তাহে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আইসিসির সভায় দুই পক্ষের মাঝে আলোচনা হবে কীভাবে পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়।
ভারতকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হবে বলেই জানালেন ওই সূত্র, ‘পাকিস্তানের ভয় হচ্ছে ভারত গত এশিয়া কাপের মতো বেঁকে বসে কিনা। পাকিস্তান ঠিকই আইসিসি ইভেন্টে ভারত সফর করেছে। নাকভি ভারতকে পাকিস্তানে আসার অনুরোধ করবেন। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যাপারেও আশ্বাস দেওয়া হবে। বাকিটা ভারত সরকারের উপর নির্ভর করছে।’
শেষ পর্যন্ত পিসিবির প্রস্তাবে ভারত রাজি হবে কিনা, সেটা সময়ই বলে দেবে।
সারাবাংলা/এফএম