১১ দিন পর বৃষ্টির মরদেহ বুঝে পেল পরিবার
১১ মার্চ ২০২৪ ১৬:৪১
ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ ১১ দিন পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (১১মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়। এসময় বাবা শাহাবুল আলম ওরফে সবুজ শেখ মরদেহটি বুঝে নেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গির হোসেন মাতুব্বর বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি আগুনের ঘটনায় মারা যাওয়া অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল তার মা-বাবার সঙ্গে ডিএনএ নমুনা মিলে যায়। আজ অফিসিয়াল ভাবে বৃষ্টির মরদেহ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরের দিন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ শনাক্ত করেছিলেন তার বাবা সবুজ খান। তবে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা দাবি করেন, মারা যাওয়া মেয়েটির নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সে নিয়মিত মন্দিরে আসতো। তিনি রমনা থানায় লিখিত ভাবে দাবি করেন ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এরপর বিজ্ঞ আদালতের শরানপন্ন হয়ে মর্গ থেকে মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
জাহাঙ্গির হোসেন মাতুব্বর বলেন, গতরাতে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা আবারও লিখিত ভাবে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বলেন তার (উৎপল সাহা) কোনো দাবি নেই, ভুল বোঝার কারণে হয়েছে। মরদেহ প্রকৃত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হোক।
আরও একটি মরদেহের বিষয়ে জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, নাজমুল নামে আরও একটি মরদেহ আছে। যার দাবিদার একজন পরিবার। ডিএনএ নমুনা এখনও পুরোপুরি মিলে নাই। একটু সময় লাগবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে বৃষ্টি খাতুনের বাবা শাহাবুল আলম ওরফে সবুজ শেখ বলেন, আল্লাহর কাছে লাখো লাখো শুকরিয়া যে ১১দিন পর হলেও মেয়ের মরদেহটা বুঝে পেলাম।
প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই ১১টা দিন রাতে ঘুমাতে পারি নাই। বৃষ্টির মা ও তার বোনগুলো শুধু কান্না করেছে। সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমার সন্তান আমার কাছে ফেরত দিয়েছে। এজন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার মেয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
সবুজ শেখ জানান, তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকশা থানার বনগ্রামে। সেখানে ব্র্যাক স্কুল থেকে পাশ করে হাইস্কুলে ভর্তি হয় বৃষ্টি। গ্রাম থেকে এসএসসি ও কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে ইডেন কলেজে ভর্তি হন।
সারাবাংলা/এসএসআর/এনইউ