মাছ ধরার ট্রলারে ইয়াবা: রোহিঙ্গাসহ ১২ জনের কারাদণ্ড
১১ মার্চ ২০২৪ ২২:২৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো : কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে ১৫ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় চার রোহিঙ্গাসহ ১২ জনকে সাজা দিয়েছেন আদালত। তাদের প্রত্যেককে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার (১১ মার্চ) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন সিকদার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- নজির আহম্মেদ, মো. হাসেম, মো. ছাদেক, খায়রুল আমিন, মো. জাফর, মো. খোকন, মো. ইসমাঈল, আনিসুর রহমান, আবদুল খালেক, সাদ্দাম হোসেন, নুর আলম ও মো. সেলিম প্রকাশ মলয়।
এদের মধ্যে খালেক, সাদ্দাম, আলম ও সেলিম মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে কক্সবাজারের আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা। তারা টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
মামলার নথি পর্যালোচনায় জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ জুন কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ‘এফভি মায়ের দোয়া’ নামে একটি মাছ ধরার ট্রলারে অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে ১৫ লাখ ইয়াবাসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাবের উপ-সহকারি পরিচালক (ডিএডি) ময়নাল হক বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মাদক আইনে মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর পিপি এম এ ফয়েজ জানিয়েছেন, অভিযোগপত্র দাখিল ও অভিযোগ গঠনের পর ২১ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত রায় দিয়েছেন। এতে ১২ আসামির প্রত্যেককে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
সব আসামিই কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজামুলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ