রোজায় স্কুল খোলা না বন্ধ, জানা যাবে মঙ্গলবার
১১ মার্চ ২০২৪ ২৩:৪৪
ঢাকা: পবিত্র রমজান মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫ দিন খোলা থাকবে না বন্ধ থাকবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আপিল বিভাগে।
সরকারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি সাইফুল আলম। অপর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ।
হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে চেম্বার আদালত হস্তক্ষেপ না করায় মঙ্গলবার রোজার প্রথম দিন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ।
এমন পরিস্থিতিতে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধু আগামীকাল (মঙ্গলবার) ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষা বিভাগ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের ওপর দুই মাসের স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট।
রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে রোববার (১০ মার্চ) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে রমজান মাসের প্রথম ১০ (দশ) দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রমজান মাসের প্রথম ১৫ (পনের) দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ ও আইনজীবী মাহমুদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান।
এর আগে, গত সপ্তাহে আসন্ন রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পূর্ব রাজাবাজারের রোটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী আহমাদ সারাহ মাহবুবা চৌধুরীর বাবা শফিউর রহমান চৌধুরী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, শিক্ষা সচিব, উপসচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, উপসচিব শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম