Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অনুমোদন চূড়ান্ত, ভারত থেকে আসছে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ মার্চ ২০২৪ ১৭:২১

ঢাকা: বাজারে বাড়তি দামের মধ্যেই ভারত থেকে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির খবর দিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন পাওয়া গেছে। এখন দর দাম নিয়ে আলোচনা চলছে। দ্রুতই ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট- ইপিএ নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনুমোদন পেয়েছি। ভারতের পেঁয়াজের ট্যারিফ বাংলাদেশের জন্য ৮০০ ডলার। আর যুক্তরাজ্যের জন্য ১২০০ ডলার। আমরা প্রাইস আরও কমানোর চেষ্টা করছি।’

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বাধার কারণে আমি চাইলে সবকিছু নিরসন করতে পারি না। তাদের নির্বাচন সামনে, সেটাও মাথায় রাখতে হবে। ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন পাওয়া গেছে। হয় সরকারিভাবে আনব, না হলে রফতানিকারকদের মাধ্যমে আনব। যত দ্রুত সম্ভব বাজারে স্বস্তি ফেরানোর চেষ্টা করব।

চিনি নিয়ে তিনি বলেন, ‘খোলাবাজারে চিনির সর্বোচ্চ দাম ১৪০ টাকার বেশি হবে না। তারা আমাদের কথা দিয়েছে, তাদের যথেষ্ট মজুত আছে। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না। সেটা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি।’ রমজানে চিনির দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গেও আমাদের কথা চলছে। সেখানেও অগ্রগতি হতে পারে। দাম সব জায়গায়ই বেশি। আমি যদি ডলারে কনভার্ট করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও চিনি আমদানি করি তাহলেও দাম কম পড়বে না। পাঁচ টাকা হয়তো এদিক-ওদিক হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী। আমরা চাচ্ছি, চিনির দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে। যে দাম আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি, রমজান মাসে চিনির দাম তাই থাকবে।’

নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার মূল্যের বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে চালের দাম স্বস্তিতে রয়েছে। চালের বাজারে অস্থিরতা চোখে পড়েনি। বাজারে তেলের দাম ১৬৩ টাকা থেকে ১৭৩ টাকা এবং খোলাবাজারে ১৪৯ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এটা যেন ঠিক থাকে সেটা নিশ্চিতের চেষ্টা করছি। চিনি, ডাল কোনো জিনিসে কোনো স্বল্পতা বাজারে নেই। এ কারণে আমি বলব, বাজার স্বস্তিতে আছে। লেবু একটা মৌসুমি ফসল। দাম ওঠানামা করতে থাকে। এ বিষয়েও আমি কৃষি বিপণন অধিদফতরের সঙ্গে কথা বলেছি, যাতে এদিকে নজর দেওয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। আমরা সে চেষ্টা করছি। আমরা হোলসেল মার্কেটে যাচ্ছি, রিটেইল মার্কেটে যাচ্ছি। আমাদের এই কাজ নিয়ে অনেকেই ট্রল করছেন। আমরা দেখছি, যেখানে ফসল হয় সেখানকার পরিবহণ ব্যবস্থা কতটা আছে। এই যে লেবুর চাষ হয় আমার এলাকায়, সেখানে ২০ টাকা হালি অথচ ঢাকাতে ৭০/৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন এটাই দেখার বিষয় যে, কীভাবে, কেন দাম বাড়ছে। এখানে কী কী যোগ হচ্ছে। আমি এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। আমরা হোলসেল মার্কেটে চিহ্নিত করেছি। সেখানে মধ্যসত্ত্বভোগী আছে। যাদের নিয়মের মধ্যে আনা হবে।’

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘সবারই বক্তব্য, আমরা স্বস্তিতে আছি কি না। আমরা স্বস্তিতে থাকার চেষ্টা করছি। এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কোনো কোনো উদ্যোগে তাৎক্ষণিক ফল পাব, কোনো উদ্যোগে মাঝারি ফল পাব। আবার কোনো উদ্যোগে সময় লাগবে।’

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

আমদানি চূড়ান্ত টপ নিউজ পেঁয়াজ ভারত


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলছেই
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০০

সম্পর্কিত খবর