‘দুর্বল ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ করা ঠিক হয়নি’
১২ মার্চ ২০২৪ ২০:১৭
ঢাকা : বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেছেন, ৩৮টি ব্যাংক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। যেখানে সবল ও দুর্বল ব্যাংকের তালিকা রয়েছে। আর প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য। কিন্তু প্রতিবেদনটি যারা প্রকাশ করেছেন তারা ঠিক করেননি। কারণ, এটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক এসব কথা বলেন।
মেজবাউল হক বলেন, ‘ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ৩৮টি ব্যাংককে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দুর্বল ও সবল ব্যাংকের গোপন এ তালিকা রিসার্সের জন্য করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই পাবলিকলি প্রকাশ করা উচিত হয়নি। কারণ এটা একটা গোপন ও একটি ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদন।’
তিনি বলেন, ‘দুর্বল ও সবল ব্যাংকের তালিকা রিসার্সের জন্য করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্টেবিলিটি ডিপার্টমেন্ট ব্যাংকগুলোর ছয়টি কম্পোনেন্ট নিয়ে এসব ব্যাংকের তালিকা করা হয়েছে।’
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্টেবিলিটি ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ছয় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকসহ মোট ৩৮টি ব্যাংককে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ৫৪ ব্যাংকের অবস্থা বিশ্লেষণ করা হয়। যেখানে ১২টি ব্যাংকের অবস্থান অত্যন্ত নাজুক, আর নয়টি ব্যাংক ইতোমধ্যে রেড জোনে চলে গেছে বলে উল্লেখ কর হয়েছে। ইয়েলো জোনে রয়েছে ২৯টি ব্যাংক। এ ছাড়া, তিনটি ব্যাংক রেড জোনের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে।
সংবাদ সম্মেলনে মেজবাউল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ছয়টি কম্পোনেন্ট নিয়ে দুর্বল-সবল ব্যাংকের তালিকা করেছে। এটা আমাদের নিজস্ব রিসার্সের জন্য করা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার জন্য নয় আমাদের এ রেটিং করা হয়নি। তাছাড়া কোন ব্যাংক দুর্বল এটাতো জানা। শেয়ারবাজার থেকেও এর চিত্র আপনারা দেখতে পান।’
মেজবাউল হক বলেন, ‘আমাদের সব রিপোর্ট পাবলিকের জন্য করা হয় না। বেশ কিছু রিপোর্ট জাতীয় স্বার্থে গোপন করতে হবে। ব্যাংকগুলোর ওপর ক্যামেলস রেটিং কখনো পাবলিক হওয়ার জন্য নয়, এটা গোপনীয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে শ্রেণিকরণে আনতে একটা পিসিএ ফ্রেমওয়ার্ক করেছি। যেখানে চারটি ক্যাগরিতে ব্যাংকগুলোকে মূল্যায়ন করা হবে। চলতি বছরের ব্যালেন্স শিটের ওপর ভিত্তি করে এটা করা হবে। যেটা কার্যকর হবে ২০২৫ সালের মে মাস থেকে।’
একীভূত নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী এক বছরে ১০ ব্যাংককে মার্জের (একীভূত) পরিকল্পনা রয়েছে। মার্জের বিশ্বব্যাপী প্রক্রিয়া রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্বতাও থাকবে মার্জের ক্ষেত্রে। এখানে দুর্বল ব্যাংক আর সবল ব্যাংক হতে পারে, আবার দুটি সবল ব্যাংকও হতে পারে।’
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম