ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী, পিতা পরীক্ষক!
১২ মার্চ ২০২৪ ২৩:২০
যশোর: ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী- এই তথ্য গোপন করে যশোর শিক্ষাবোর্ডের ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রধান পরীক্ষক হয়েছেন আয়নাল হক নামে এক শিক্ষক। তিনি চৌগাছা উপজেলার ঝাউতলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
অথচ পরীক্ষক নিয়োগপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, ‘সন্তান কিংবা পোষ্য পরীক্ষার্থী হলে প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক ও নিরীক্ষক হতে পারবেন না পিদা। যদি তা হয় তবে নিয়োগপত্রটি বাতিল হবে।’ তারপরও ইংরেজি প্রথমপত্রের উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য নিয়েছেন আয়নাল হক। এ নিয়ে বইছে সমালোচনার ঝড়।
জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আয়নাল হকের ছেলে চৌগাছা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে চৌগাছা ছারা পাইলট বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এরপরও তিনি তথ্য গোপন করে যশোর বোর্ডের ইংরেজি ১ম পত্রের প্রধান পরীক্ষক হয়েছেন এবং ইতোমধ্যে বোর্ড থেকে খাতাও নিয়ে এসেছেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি বোর্ডের আওতাধীন সব পরীক্ষক/প্রধান পরীক্ষক/নিরীক্ষকদের নিয়োগপত্র বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা সেখান থেকে নিয়োগপত্রটি ডাউনলোড করবে। এর পর সেই নিয়োগপত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তার প্রতিষ্ঠান প্রধানের সই নিয়ে বোর্ডে গিয়ে উত্তরপত্র নিয়ে আসবেন। আয়নাল হক নিজেই প্রধান শিক্ষক। তাই তিনি নিজের প্রত্যয়ন নিজে দিয়েই ইংরেজি ১ম পত্রের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে মূল্যায়নের জন্য চারশ’ উত্তরপত্র নিয়েছেন। অথচ তার ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আয়নাল হক বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানলাম। বিষয়টি বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানাব। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক যে সিদ্ধান্ত দেন সেটাই হবে।’
এ নিয়ে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ বলেন, ‘সন্তান পরীক্ষার্থী হলে তিনি পরীক্ষক/প্রধান পরীক্ষক/নিরীক্ষক হতে পারবেন না। কোনো শিক্ষক তথ্য গোপন করে পরীক্ষক হয়েছেন কি না, বিষয়টি জানা নেই।’ তথ্য পাওয়ার পর তিনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
সারাবাংলা/পিটিএম