বাংলা একাডেমিতে আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্মরণে একক বক্তৃতানুষ্ঠান
১৩ মার্চ ২০২৪ ১৬:৫৪
ঢাকা: শিক্ষাবিদ-কবি-গীতিকার-প্রাবন্ধিক ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্মরণে একক বক্তৃতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলা একাডেমি।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। আবু হেনা মোস্তফা কামালের কবিতাভুবন শীর্ষক একক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক সায়েরা হাবীব।
মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘আবু হেনা মোস্তফা কামাল একজন অসাধারণ সাহিত্যসাধক এবং জীবনসাধক। তাঁর কবিতা ও গানে জীবনের আনন্দিত রূপ যেমন অনুপম ব্যঞ্জনায় ভাস্বর তেমনি তাঁর প্রবন্ধ-গবেষণায় যুক্তিশৃঙ্খলা এবং সুনিপুণ বিশ্লেষণ আমাদের বিস্মিত করে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে স্বল্পকালীন দায়িত্বকালেও তিনি সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে গেছেন।’
অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বল্পপ্রজ কবি। কবিতার সংখ্যার চেয়ে গুণমান তার কাছে ছিল অধিকতর বিচার্য। কবিতায় তিনি ছিলেন অনিবার্য শব্দের সন্ধানী। ব্যক্তি-কবি তার কবিতায় সমষ্টির রূপকে উদ্ভাসিত হয়ে সমাজের বহু নির্মম সত্যকে সহজ মাত্রায় তুলে ধরেছে।’
তিনি বলেন, ‘আবু হেনা মোস্তফা কামালের জীবদ্দশায় প্রকাশিত তিনটি কবিতাগ্রন্থের পাশাপাশি অগ্রন্থিত ও অপ্রকাশিত কবিতাসমূহেও জীবনবোধ অসাধারণ শিল্পসুষমায় উপস্থিত।’
সেলিনা হোসেন বলেন, ‘আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বল্পায়ু জীবন পেয়েছেন। কিন্তু সৃষ্টিকর্মে বিপুলতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তার সাহিত্যসাধনা এবং জীবনচর্যায় সুরুচি এবং সৌন্দর্যের প্রতিফলন ঘটেছে সবসময়। একজন শিক্ষক হিসেবে যেমন তিনি অনন্য তেমনি একজন কবি-লেখক হিসেবেও তুলনারহিত।
সারাবাংলা/এজেড/এনইউ