‘কী হবে কিছুই তো জানি না, দোয়া করো’
১৩ মার্চ ২০২৪ ১৭:১৬ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৪ ১৮:০২
খুলনা: ‘আমাদের সোমালিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে, হয়তো আর যোগাযোগ হবে না। কী হবে কিছুই তো আসলে জানি না। দোয়া করো।’— এভাবেই স্ত্রীর সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা বলেন ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলাম।
বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে সাংবাদিকদের কাছে শেষ ফোনালাপের তথ্যগুলো জানাচ্ছিলেন তৌফিকুলের স্ত্রী জোবায়দা নোমান। এর আগে, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল ৫টার পর মা ও স্ত্রীর সঙ্গে সর্বশেষ মোবাইল ফোনে কথা বলেন ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল।
জিম্মি মো. তৌফিকুল ইসলাম খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ২০/১ করিমনগর এলাকার মো. ইকবাল এবং দিল আফরোজা দম্পতির ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। তার স্ত্রী জোবায়দা নোমান এবং দুই সন্তান তাসফিয়া তাহসিনা (৭) ও আহমেদ রুসাফি (৫)।
আরও পড়ুন:
- জিম্মি জাহাজে ৫৫ হাজার টন কয়লায় ‘অগ্নিঝুঁকি’
- উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় জিম্মি জাহাজের নাবিকদের স্বজনেরা
- ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ
- ছেলেকে সুস্থ ফিরিয়ে দিন— জিম্মি নাবিকের মায়ের আর্তি
- সোমালিয়ার পথে জিম্মি জাহাজ, এখনও ২৭৫ নটিক্যাল মাইল দূরে
স্ত্রী জোবায়দা নোমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে ইফতেখার স্যার ফোন করে পরিবার থেকে লোক পাঠাতে বলেছিলেন। আমার মেজ ভাসুর এবং আমার ভাই দু’জন চট্টগ্রাম গেছেন। আমাদের দাবি একটাই, সবকিছুর বিনিময়ে হলেও সে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। তার সহকর্মীরাও আল্লাহর রহমতে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসুক।’
ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলামের মা দিল আফরোজ বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। বলল, আম্মা আমি ভালো আছি, চিন্তা করো না। আমি বললাম চিন্তাতো লাগেই। যে অবস্থায় তোমরা আছো, টেনশন তো হয়। এই বলতে বলতে আর কথা নেই। মনে হলো মোবাইল ফোনটা কেড়ে নিল।’
এর আগে, মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। শিল্পগ্রুপ কেএসআরএম’র মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। পরে জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যায়।
সারাবাংলা/পিটিএম