রাফাহ শহরে স্থল অভিযানের অনুমতি দিল ইসরাইল
১৬ মার্চ ২০২৪ ০৮:৩৪
গাজার রাফাহ শহরে একটি স্থল অভিযান পরিচালনার জন্য অনুমতি দিয়েছেন ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শহরটিতে আটকে পড়া ১৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরানোর পরিকল্পনা করছে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ এই অভিযানের বিষয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে। এদিকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য কাতারে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে ইসরাইল। খবর আলজাজিরা।
এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে উল্লেখ করেছেন কাতার ইউনিভার্সিটির গালফ স্টাডিজ সেন্টারের লুসিয়ানো জাক্কারা। তিনি বলেন, ‘রাফাহ অভিযানের অনুমতি দেওয়ার পর যা ঘটছে তা খুবই বিভ্রান্তিকর।’
লুসিয়ানো জাক্কারা বলেন, আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজার দক্ষিণের শহরটিতে আক্রমণ করার পরিকল্পনা ত্যাগ করেননি। যেখানে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘রাফাহতে স্থল অভিযানের বিষয়টি ভয় দেখানোর জন্য হতে পারে বলে মনে করি। যাতে আলোচনায় কিছু আদায় করতে এটিকে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু নেতানিয়াহু যা বলেছেন তিনি তা করেছেন, তাই মনে করি খুব সম্ভবত এটি ঘটতে চলেছে।’
এদিকে নেতানিয়াহুকে ‘আরও গণহত্যার অপরাধ সংঘটনের জন্য’ অভিযুক্ত করেছেন হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি।
রাফাহ শহরে হামলার বিষয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস। একইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও একটি সতর্ক বার্তা দিয়েছে বলে আলজাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হাজার ৪৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৭৩ হাজার ৪৩৯ জন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা আশ্চর্যজনকভাবে ইসরাইলে হামলা চালায়। এতে করে অন্তত ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়। এছাড়া ২৫৩ জনকে জিম্মি করে। এরপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। তবে এই হামলায় নিরীহ ফিলিস্তিনিরাই নিহত হচ্ছেন।
সারাবাংলা/এনএস