‘টাইমড আউটের’ প্রভাবেই টি-২০ বিশ্বকাপে থাকছে স্টপ ক্লক?
১৬ মার্চ ২০২৪ ১০:০৩
খেলার মাঝে সময় বাঁচানো নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই সোচ্চার আইসিসি। সাকিবের করা ম্যাথিউসের সেই বিখ্যাত টাইমড আউট প্রমাণ করেছিল, সময়ের একটু এদিক ওদিক হলে কি বিপদেই না পড়তে পারেন ক্রিকেটাররা! এবার আইসিসি আরও শক্ত অবস্থান নিচ্ছে খেলার মাঠের সময় অপচয় নিয়ে। আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সময় বাঁচানোর জন্য থাকছে স্টপ ক্লক। অতিরিক্ত সময় নিলেই গুণতে হবে মোটা অংকের জরিমানা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গত ১৫ মার্চ দুবাইতে বসেছিল আইসিসির বিশেষ সভা। সেখানে ক্রিকেটের নানা বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়া হয় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। এর মাঝে সবচেয়ে আলোচিত ছিল ওয়ানডে ও টি-২০তে স্টপ ক্লকের ব্যবহার। ম্যাথিউসের টাইমড আউটের পর থেকেই মাঠে ক্রিকেটারদের সময়ের মূল্য নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে। খেলার মাঠে কীভাবে সময় বাঁচানো যায়, সেই লক্ষ্যেই স্টপ ক্লকের প্রচলন ঘটাচ্ছে আইসিসি।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে স্টপ ক্লকের প্রচলন করেছিল আইসিসি। সফলতা আসায় আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ থেকেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে থাকবে স্টপ ক্লক। ওভার শেষ হওয়ার পর নতুন ওভার শুরু করতে হবে এক মিনিটের মাঝেই। দুইবার এটি করতে ব্যর্থ হলে অধিনায়ককে সতর্ক করবেন আম্পায়ার। তৃতীয়বার করা হবে ৫ রানের জরিমানা। আর এই এক মিনিট হিসাব করা হবে স্টপ ক্লকের মাধ্যমে।
এছাড়াও স্টপ ক্লকের মাধ্যমে দেখা হবে স্লো ওভার রেটও। সেখানে নির্ধারিত সময়ের বাইরে গেলেই থাকছে জরিমানা। অতিরিক্ত সময়ে প্রতি ওভারের জন্য ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ করে জরিমানা করা হবে ক্রিকেটারদের। অধিনায়কের জন্য সেটা হবে দ্বিগুণ। ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হতে পারে দলগুলোকে।
সারাবাংলা/এফএম